রাজ্যের ২১ টি জেলার প্রায় ১৫ হাজার সরকারি কর্মীর কাছে ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘটের দিন কাজে যোগদান না করার জন্য শো কজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। এর সিংহভাগ স্কুলের শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মচারি। তাদের নোটিস সার্ভ করেছে ডিআই অফিস। অথচ ১০ মার্চ ধর্মঘটে সামিল ছিলেন কমপক্ষে দশ লক্ষ কর্মী। শো কজের এই বৈষম্য নিয়ে এবার সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
যৌথ মঞ্চের দাবি, ডিএ সমস্ত সরকারি কর্মীর প্রয়োজন। নৈতিকভাবে তাই এই আন্দোলনের পাশে সবাই আছেন। সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন পৌরসভা, আদালত সহ সরকারের সর্বস্তরের কর্মচারিরা। কিন্তু আন্দোলন গোড়া থেকে পরিচালনা বা নেতৃত্ব দিচ্ছেন শিক্ষকরা।
এমনকি যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আন্দোলনের মূল নেতা ভাস্কর ঘোষ নিজেই শিক্ষক। তাই বেছে বেছে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের শো কজ করে এই আন্দোলনকে ঘুরপথে দমাতে চাইছে সরকার। এর বিরুদ্ধেই আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে যৌথ মঞ্চ।
পাশাপাশি, শহীদ মিনারে ২৯ মার্চ শাসক দলের ছাত্র যুব সমাবেশ ঘিরে তৈরি হওয়া জটিলতা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি যৌথ মঞ্চ। ব্রিগেড ছিল, ধর্মতলা ছিল। তাও বেছে বেছে শহীদ মিনারকে সভাস্থল হিসেবে নির্বাচনের পিছনে কোথাও ভয় দেখানো বা অশান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা আছে বলে যৌথ মঞ্চের দাবি।