পরামর্শ বিশ্রামের, আইপিএলে কোহলিরা কি বিরতি নেবেন? জবাব দিয়ে দিলেন রোহিতই

আগেই আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন যশপ্রীত বুমরা। সেই তালিকায় যোগ হয়েছেন শ্রেয়স আয়ার। এখন অত্যধিক ক্রিকেট খেলার চাপ সব খেলোয়াড়ের শরীরেই প্রভাব ফেলেছে। বছরের শেষে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের আগে আইপিএলে সব ম্যাচ না খেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রথম সারির ক্রিকেটারদের। বোর্ডের একটা অংশ এরকমই চাইছে। একই মত প্রাক্তনদের অনেকেরও।

তবে সেটা কতটা মানা হবে, তা নিয়ে সন্দিহান খোদ রোহিত শর্মাই। ভারত অধিনায়ক মনে করছেন, চাইলেও হয়তো ক্রিকেটাররা বিশ্রাম নিতে পারবেন না। আগে রাজি হতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে।

বুধবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে এক দিনের সিরিজ়ে হারের পর এই কথা বলেন রোহিত। তাঁর মন্তব্য, “ফ্র্যাঞ্চাইজির উপরেই সব নির্ভর করছে। ওরাই এখন ক্রিকেটারদের মালিক। আমরা কিছু দলকে বার্তা পাঠিয়েছি ঠিকই। কিন্তু দিনের শেষে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ইচ্ছের উপরে কিছু বলা যাবে না। সবচেয়ে বড় কথা, ক্রিকেটারদের উপরেই এটা নির্ভর করছে। প্রত্যেকে প্রাপ্তবয়স্ক। নিজেদের শরীরের খেয়াল সবাইকে রাখতে হবে। যদি মনে হয় খুব বেশি খেলা হয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে দলের সঙ্গে কথা বলে দু’-একটা ম্যাচে বিরতি নিতে পারে। তবে আমার সন্দেহ রয়েছে আদৌ এটা হবে কিনা।”

চলতি সিরিজ়ে তিন বারই প্রথম বলে আউট হয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। চূড়ান্ত সমালোচিত হয়েছেন নিজের পারফরম্যান্সের কারণে। সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়েছেন রোহিত। বলেছেন, “ও তো মাত্র তিনটে বল খেলেছে ভাই। এটা কতটা ভাবনার সেটা জানি। তিনটে ভাল বলে আউট হয়েছে মেনে নিতেই হবে। আজ অবশ্য খুব ভাল ছিল না। সামনে এগিয়ে খেলা উচিত ছিল ওর। ও এত ভাল স্পিন খেলে। গত দু’বছরে সেটা সবাই দেখেছি। তাই জন্যেই ওকে পরে নামিয়েছিলাম যাতে শেষ দিকে ১৫-২০ ওভার খেলতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত তিনটে বল খেলতে পেরেছে সিরিজ়‌ে।”

ম্যাচের পর রোহিত আরও বলেছেন, “আমার মনে হয় না খুব বড় রানের লক্ষ্য ছিল আমাদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে উইকেট একটি চ্যালেঞ্জিং হয়ে গিয়েছিল। তবু বলব, আমরা ভাল ব্যাট করতে পারিনি। জুটি তৈরি করা প্রয়োজন ছিল। একটাও ভাল জুটি তৈরি করতে পারিনি আমরা। এই ধরনের উইকেটে খেলেই আমরা বড় হয়েছি। এই রকম উইকেটেই আমরা খেলা শিখেছি। অথচ আমরা অনেকেই খারাপ ভাবে আউট হলাম। কখনও কখনও নিজেকে একটু বেশি প্রয়োগ করতে হয়। সুযোগ তৈরি করে নিতে হয় নিজেকে। এক জন্য ব্যাটারের জন্য এই বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খেলাটার গভীরে যেতে হলে এটা করতে হয়। আমরা সকলেই চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি।”

বিশ্বকাপের আগে এই ম্যাচগুলিকে আগামী দিনের শিক্ষা হিসাবেই দেখছেন রোহিত। সতীর্থদের কিছুটা সতর্কও করে দিয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। রোহিত বলেছেন, ‘‘গত জানুয়ারি থেকে এই নিয়ে আমরা ন’টি এক দিনের ম্যাচ খেললাম। এই ম্যাচগুলি থেকে আমরা অনেক ইতিবাচক দিক পেয়েছি। তাও বলব এটা দলগত ব্যর্থতা। আমাদের হাতে আর পাঁচ সময় আছে। এই ধরনের পরিবেশেই বিশ্বকাপ খেলতে হবে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.