আরও চাই, আরও চাই! যেদিন থেকে অসৎ পথে পা দিয়েছে সেদিন থেকেই বিপদ ঘনিয়েছে অয়ন শীলের। তার জামাই কম্পিউটারে পারদর্শী ছিল তাই হয়তো অয়নকে ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অয়নের বড় হতে চাওয়ার এই পরিণতি মনে করছেন অয়নের শ্বশুর মনোরঞ্জন দাস।
চুঁচুড়া কারবালা মোর এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন স্বাস্থ্যকর্মী মনোরঞ্জন দাসের মেয়ে কাকলি। নিজেই পছন্দ করে অয়নকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। মনোরঞ্জন বাবু জানান, বিয়ের পর হাতে গোনা কয়েকবার তার বাড়িতে এসেছেন অয়ন। ইদানীং আর সেই রকম কোনও যোগাযোগও ছিল না। তবে সোমবারও মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। মেয়ে কাকলি আপাতত দিল্লীতে। কথা হয়েছে অয়নের মা বাবার সঙ্গেও। অয়নের বাবা সদানন্দ শীল তার কাছে আক্ষেপ করে বলেছেন তিনি ছাত্রদের পড়িয়ে মানুষ করেন কিন্তু নিজের ছেলের বেলায় অন্যরকম হয়ে গেল।
অয়নের শ্বশুরের দাবি, আমার মেয়ে এত গভীর ভাবে বিষয়টা জানত না। ও জানলে আমরাও জানতে পারতাম। আর জানলে সৎ উপদেশ দিতাম। সৎভাবে বাঁচার কথা বলতাম। আসলে ওকে ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা জানতাম না এত কিছু। প্রমোটারি করে এটাই জানি। এদিন অয়ন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে বলেও দাবি করেন মনোরঞ্জন বাবুু। তবে মেয়ে কাকলি নিরপরাধ। প্রসঙ্গত, চুঁচুড়া জগুদাসপাড়ায় এবিএস টাওয়ার বহুতল অয়নের স্ত্রী কাকলির নামে।
সূত্রের খবর, যে পদে চাকরি,তেমন তার দাম। বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি দিতে রীতিমতো রেট বেঁধে দিয়েছিলেন অয়ন শীল। পুরসভায় লেবার, গাড়ির চালক, ঝাড়ুদারের মতো পদে চাকরি পেতে গেলে অয়ন শীল এবং তাঁর এজেন্টদের ৪ লক্ষ টাকা করে দিতে হত চাকরিপ্রার্থীদের। একই ভাবে গ্রুপ সি, টাইপিস্ট অথবা অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি পেতে গেলে ৭ লক্ষ টাকা করে দিতে হত চাকরিপ্রার্থীদের৷