প্রভাব পড়বে না মেহুলের প্রত্যর্পণে, ইন্টারপোল রেড নোটিস তুলে নেওয়ার পর দাবি করল সিবিআই

পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোক্সিকে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে। অ্যান্টিগা এবং বারবুডা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনাও করছেন। মেহুলের উপর থেকে ইন্টারপোলের রেড নোটিস সরিয়ে নেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর মঙ্গলবার বিবৃতি জারি করে এমনই দাবি করল ‘সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন’ (সিবিআই)।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বিবৃতি দিয়ে সিবিআই জানিয়েছে, ইন্টারপোলের রেড নোটিসের জেরে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় কোনও ভাবেই বাধা তৈরি হয়নি। ইন্টারপোলের সিদ্ধান্তকে ত্রুটিপূর্ণ বলেও দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। ত্রুটি সংশোধনের জন্য সিবিআই সংশ্লিষ্ট দফতর এবং আন্তর্জাতিক পুলিশ অর্গানাইজেশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও বিবেচনা করছে সিবিআই। যাতে মেহুলের বিরুদ্ধে আবার রেড নোটিস জারি করানো যায়।

২০১৭ সালে মেহুল ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অ্যান্টিগা এবং বারবুডার নাগরিকত্ব নেন। ২০১৮ সালে ইডি এবং সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে ইন্টারপোল মেহুলের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি করে। কিন্তু সোমবার জানা যায়, সেই রেড নোটিস প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইন্টারপোল। কারও বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি হওয়ার অর্থ হল, তিনি কোনও বন্দর (বিমান, সমুদ্র বা স্থল) ব্যবহার করে দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। মেহুল বর্তমানে রয়েছেন অ্যান্টিগা, বারবুডা দেশে। তাঁর বিরুদ্ধে রেড নোটিস তুলে নেওয়ার অর্থ হল, তিনি স্বাধীন ভাবে সেই দেশ ছেড়ে অন্যত্র যেতে পারবেন।

হিরে ব্যবসায়ী মেহুলকে কেন দেশে ফেরানো হচ্ছে না, তা নিয়ে মোদী সরকার বিরোধীদের অজস্র প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এই প্রেক্ষিতে ইন্টারপোল মেহুলের উপর থেকে রেড নোটিস তুলে নিলে তাঁকে দেশে ফেরানো আরও কঠিন হয়ে যাবে। যদিও সিবিআইয়ের দাবি, ইন্টারপোল রেড নোটিস তুলে নিলেও তার কোনও প্রভাব পড়বে না মেহুলকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.