সফল ভাবে ব্রাহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। সোমবার ওডিশার উপকূলবর্তী জেলা বালেশ্বরের চাঁদিপুরে সফল ভাবে পরীক্ষা করা হয় অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে। জল,স্থল এবং আকাশে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ব্রাহ্মোস। লক্ষ্যবস্তুর
উপর নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম এটি।
ডিআরডিও-র আধিকারিক সূত্র থেকে জানা গিয়েছে আগের তুলনায় এবারের ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রে আগের থেকে বেশি দেশীয় প্রযুক্তি নির্মিত সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে। ৮.৪ মিটার লম্বা, ০.৬ মিটার চওড়া এই ক্ষেপণাস্ত্রটি
৩০০ কিলোগ্রাম ওজন পর্যন্ত ওয়ারহেড বা বিস্ফোরক বহনে সক্ষম। শব্দের গতির থেকে ২.৮ গুণ বেশি গতিতে লক্ষ্যবস্তুর উপর নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এমন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র জল,স্থল এবং আকাশ পথে দাগা সম্ভব। এই ধরণের উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান এবং চিনের কাছে নেই। হাইপারসনিক গতিতে ব্রাহ্মোসকে নিয়ে যাওয়ার জন্য যৌথ ভাবে কাজ করে চলেছে ভারত ও রাশিয়া। ব্রাহ্মোসের পাল্লা বা রেঞ্জ ২৯০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৬০০ কিলোমিটারে নিয়ে যাওয়ার জন্য যৌথ ভাবে কাজ করছে এই দুই দেশ। ফলে কম সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের যে কোনও লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। উল্লেখ করা যেতে পারে ভারত ও রাশিয়া যৌথ ভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি
বিকোশিত করা হয়েছে।
ব্রহ্মস কম দূরত্বের রেমজেট ইঞ্জিন যুক্ত সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এই মিসাইলকে সাবমেরিন, জাহাজ, যুদ্ধ বিমান অথবা মাটি থেকেও সহজেই ফায়ার করা যায়। ব্রহ্মস মিসাইলকে দিন হোক আর রাত, আর যেকোন আবহাওয়াতেই ফায়ার করা যেতে পারে। আর কোন পরিস্থিতিতেই
এই মিসাইলের মারক ক্ষমতা কমে না।
রেমজেট ইঞ্জিনের কারণে এই ক্ষেপণাস্ত্রের
ক্ষমতা তিন গুণ বেড়ে যায়। এই মিসাইল রাশিয়ার পি-৮০০ ক্রুজ মিসাইলের প্রযুক্তির উপর আধারিত। ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের
নাম ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদী আর রাশিয়ার মস্কবা নদীর নামে রাখা হয়েছে।