BREAKING: সব্যসাচী বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন আগামীকালই!

দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে গেছে, তাই তিনিও নতুন রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করছেন। এমনটাই জানিয়ে দিলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র তথা রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। মঙ্গলবার কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এনআরসি বিষয়ক সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার কথা তাঁর। জানা গিয়েছে, ওই মঞ্চেই ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন সব্যসাচী।

তিনি বলেন, “তৃণমূলের লক্ষ্য ছিল সিপিএমকে সরানো। সেই লক্ষ্য থেকে এখন সরে গেছে তৃণমূল। যারা তৃণমূলকে ভালবেসে এসেছে, তাদেরই আজ গুরুত্ব নেই দলে। তাই আমার এই সিদ্ধান্ত। বাকিটা যোগদানের পরেই বলব।”

গত কয়েক মাস ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব চলছিল সব্যসাচীর। বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে বাড়িতে ডেকে লুচি-আলুরদম খাওয়ানোর পর থেকে তুঙ্গে ওঠে জল্পনা। তাও তৃণমূলের তরফে ফিরহাদ হাকিম চেষ্টা করেছিলেন মধ্যস্থতা করার। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। সংবাদমাধ্যমে এমন সব মন্তব্য করেছিলেন তৎকালীন বিধাননগরের মেয়র, যা বাংলার শাসকদলকে ঘোর অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল।

বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে আর রাখঢাক করেননি সব্যসাচী। নিজের ওয়ার্ডের গণেশ পুজোয় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিজেপি-র শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননরা গিয়ে সব্যসাচীর পুজোর শুধু ফিতেই কাটেননি, পাত পেড়ে ভোগও খেয়েছিলেন।

এ দিন বিজেপি-র রাজ্যসভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ সব্যসাচীর যোগদানের ব্যাপারে বলেন, “অনেক দিন ধরেই শুনছি তিনি যোগ দেবেন। কাল যদি অত বড় অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেন, নিশ্চিত ভাবেই গুরুত্ব বাড়বে।”

যদিও তৃণমূলের নেতারা এসবে খুব একটা আমল দিচ্ছেন না। দলের এক মুখপাত্র বলেন, সব্যসাচী যে তৃণমূলে নেই সে তো দল অনেক দিন আগে থেকেই জানে। তাই তো ওঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে বিধাননগরে নতুন মেয়র নির্বাচন করা হল। কে থাকল কে গেল তাতে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.