পঞ্জাবের খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহের মুক্তির দাবিতে দেশে, বিদেশে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন বহু মানুষ। সেই আবহে ভারতে খলিস্তানপন্থীদের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হল। তালিকায় আছেন, কানাডার নতুন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা জগমিৎ সিংহ, কানাডার কবি রুপি কউর এবং কানাডার সমাজকর্মী গুরদীপ সিংহ সাহোতার মতো ব্যক্তিত্ব। ‘ইউনাইটেড শিখ্স’ নামের একটি স্বতন্ত্র সংগঠনের টুইটার অ্যাকাউন্টও বন্ধ করা হয়েছে।
জগমিৎ সিংহের টুইটার অ্যাকাউন্ট ভারতে বন্ধ করে দেওয়ার আলাদা তাৎপর্য আছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। কারণ, তিনি নানা সময়ে নানা প্রসঙ্গে ভারত সরকারের বিরোধিতা করে এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে বার বার।
যে অমৃতপালের জন্য এত বিক্ষোভ, পঞ্জাব পুলিশের দাবি, তাঁকে এখনও ধরাই যায়নি। তিনি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অমৃতপালকে ‘ফেরার’ বলে ঘোষণা করেছে পঞ্জাব পুলিশ। তাঁর অনুরাগী এবং ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ বা পঞ্জাবের উত্তরাধিকারী সংগঠনের অন্য নেতা, কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।
যদিও, পুলিশের দাবি মানতে চাইছেন না অনেকেই। অমৃতপালের পরিবার এবং অনুরাগীরা অনেকেই মনে করছেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সেই তথ্য পুলিশ প্রকাশ্যে আনছে না।
অমৃতপালের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান এবং যাবতীয় পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিদেশের মাটিতেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন খলিস্তানপন্থীরা। সোমবার আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানো হয়েছে। দূতাবাসের দেওয়ালে দেখা গিয়েছে ‘ফ্রি অমৃতপাল’ লেখা গ্রাফিতিও। এর আগে অনুরূপ বিক্ষোভ দেখা যায় লন্ডনে। অভিযোগ, লন্ডনের দূতাবাসে ভারতের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলেছিলেন খলিস্তানপন্থীরা। যে ঘটনার পর ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ক্রিস্টিনা স্কটকে তলব করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বিক্ষোভের আবহেই খলিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে আরও কড়া অবস্থান গ্রহণ করল কেন্দ্র।