Mid Day Meal: পড়ুয়ার সংখ্যা তলানিতে; বেতন কমেছে বাঁধুনিদের, স্কুলে বন্ধ মিড-ডে মিল…

পড়ুয়ার সংখ্য়া কমেছে। সঙ্গে রাঁধুনিদের বেতনও! বাঁকুড়া শহরের ২ স্কুলের একমাস ধরে বন্ধ মিড-ডে মিল। কেন এমন পরিস্থিতি? স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। 

ঘটনাটি ঠিক কী? নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বাদ যাননি এসএসসি-র গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরাও। পরিস্থিতি এমনই যে, সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে পড়ুয়ারা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শুধুমাত্র বাঁকুড়া জেলাতেই এমন প্রায় আটশোটি সরকারি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে, যে স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩০-র নীচে! এবার সেই ঘটনারই প্রভাব পড়ল মিড-ডে মিলে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়া শহরের বাগদীপাড়া ইন্দ্রা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ও লালবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একসময়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ৬০-র বেশি। স্কুল পিছু মিড-ডে রান্নার দায়িত্বে ছিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দুই সদস্য। মাসে দেড় হাজার করে বেতন করে বেতন পেতেন ওই দু’জন। কিন্তু এখন দুটি স্কুলেই পড়ুয়াদের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমেছে। ফলে মিড-ডে মিলের রাঁধুনির সংখ্যাও দুই থেকে কমিয়ে এক করে দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই ঘটেছে বিপত্তি।

কেন? সরকারি বরাদ্দ মাসে দেড় হাজার টাকা। অথচ স্কুলের মিড-ডে রান্না করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৩ সদস্য! শুধু তাই নয়, দেড় হাজার টাকাই ভাগ করে নিতে হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু মাত্র পাঁচশো টাকায় রান্নার কাজ করতে রাজি নন মহিলারা।  ফলে একমাস ধরে মিড-ডে মিল বন্ধু দুটি স্কুলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.