শক্তিশালী রাষ্ট্রের নেতার বিদেশসফর সব সময়ই তাৎপর্যপূর্ণ। জি জিন পিংয়ের ক্ষেত্রেও সেটাই হতে চলেছে। আন্তর্জাতিক মহলের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও ইউক্রেনের উপর রুশ-আগ্রাসন বন্ধ হয়নি। তবে এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাশিয়ায় যাচ্ছেন চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং। এবং সংশ্লিষ্ট মহলের মত, সেখানে শান্তিস্থাপকের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে তাঁকে। রাশিয়া সফরে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও জিনপিং কথা বলতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে ততটা হয়তো ঘটবে না। তবে, এতদিনে এটা স্পষ্ট, ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্বে বরাবর রাশিয়ার পাশেই থেকেছে চিন। সরাসরি রাশিয়াকে সাহায্য না করলেও পশ্চিমি দুনিয়ার আর্থিক নিষেধাজ্ঞার সময়ে তাদের পাশেই ছিল এই বন্ধুরাষ্ট্র।
রাশিয়া চিনের পুরনো বন্ধু। ইউক্রেনে হামলা করার পরে পশ্চিমি দুনিয়া প্রায় একঘরে করার চেষ্টা করেছে রাশিয়াকে। চিন কিন্তু রাশিয়ার পাশ থেকে সরেনি। এই পরিস্থিতিতেই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জিনপিংয়ের রাশিয়াসফরের ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সফরের ব্যাপারে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, শান্তিস্থাপনেই বিশেষ উদ্যোগ নেবেন চিনা প্রেসিডেন্ট।
তবে সত্যিই জি জিনপিং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধদ্বন্দ্ব থামাতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে আমেরিকা-ইউরোপের বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। তার কারণ হিসেবে তারা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকালীন রাশিয়ার উপর চাপ তৈরি বা রাশিয়াকে প্রকাশ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে কখনও সেভাবে বলেনি চিন। এখন কি আর সেই দায়িত্ব পালন করবে তারা?
তবে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারি করেছে। আদালতের চোখে রুশ প্রেসিডেন্ট যুদ্ধোপরাধী। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন থেকে বেআইনিভাবে শিশুদের রাশিয়ার নির্বাসনে পাঠিয়েছেন তিনি, এই অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে! তবে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের এই পরোয়ানা নিয়ে বিশ্ব-রাজনৈতিক মহলে নানা নেতা নানা কথা বলেছেন। খোদ রাশিয়া পরে প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানিয়েছে, তাদের কাছে এই গ্রেফতারি পরোয়ানার কোনও মূল্যই নেই। জানা গিয়েছে, জিং জিংপিন আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের এই বিষয়টি নিয়েও কথা বলবেন।