এবার ফের একটি বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারত (India)। জানা গিয়েছে, ভারত এবার এমন ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে যা পশ্চিমী দেশগুলির “ইউজ অ্যান্ড থ্রো” মডেলের ওপর রীতিমতো আধিপত্য বিস্তার করতে পারে। এই প্রসঙ্গে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ভারত এখন IT সার্ভিস থেকে শুরু করে উৎপাদনের দিকে কড়া নজর দিয়েছেপাশাপাশি সেখানে আরও জানানো হয়েছে যে, জিরো-কোভিড নীতির কারণে চিনের সাপ্লাই চেন রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বেজিংয়ের প্রতি কোম্পানিগুলির “বিশ্বাসের ঘাটতি”-র সুযোগ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ভারত। এদিকে, করোনার মত ভয়াবহ মহামারীর সময়ে ড্রাগনের কঠোর নীতির কারণে অ্যাপল ও ফক্সকনের মত বড় বড় সংস্থাগুলি চিনের বিকল্প খুঁজতে শুরু করে।এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট (SCMP) হংকংয়ে স্থিত ইংরেজি ভাষার একটি সংবাদপত্র। এমতাবস্থায়, ওই সংবাদপত্রের একটি রবিবারের সংস্করণও রয়েছে। যেটি সানডে মর্নিং পোস্ট নামে পরিচিত। এটি চিনের আলিবাবা গ্রূপের মালিকানাধীন রয়েছে।এদিকে, EPIC ফাউন্ডেশন একটি নন-প্রফিট ইন্ডাস্ট্রি ইনিশিয়েটিভ। যেটি গত বছর শুরু হয়েছিল। EPIC-র চেয়ারম্যান হলেন অজয় চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, “আমাদের মডেলটি এমন পণ্য তৈরি করার বিষয়ে রয়েছে যা বর্তমানে বাজারের সত্যিই প্রয়োজন। ভারত ‘ইউজ অ্যান্ড থ্রো’-র মত পশ্চিমী মডেল অনুসরণ করেনা।” এমতাবস্থায়, ওই ফাউন্ডেশন তাদের প্রথম প্রোডাক্ট হিসেবে শিক্ষার জন্য কম্পিউটার ট্যাবলেট নিয়ে এসেছে। যেটিতে খুব সহজেই নতুন পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব। এই উদ্যোগটি বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। যদিও, এই ভাবনা IT পরিষেবা থেকে ইলেকট্রনিক আইটেম উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশের একটি ভালো প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হবে।সরকারি তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বর্তমানে মোবাইল ফোনের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ হল ভারত। অর্থাৎ, এই ক্ষেত্রে চিনের পরেই রয়েছে আমাদের দেশ। এমতাবস্থায় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেশে অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্যের উৎপাদনও দ্রুতহারে বাড়ছে। পাশাপাশি, একাধিক ইউরোপিয় এবং আমেরিকান সংস্থাও ভারতীয় পার্টনারদের সাথে আলোচনা করছে। ইতিমধ্যেই দেশে স্যামসাং এবং অ্যাপলের মত জনপ্রিয় ফোন তৈরি হচ্ছে।ভারতে সেমিকন্ডাক্টর তৈরির জন্য ফক্সকনের সাথে চুক্তি করেছে বেদান্ত। এমতাবস্থায়, অজয় চৌধুরী জানিয়েছেন, “আমরা যদি ডিজাইন সেন্টারে রূপান্তরিত হয়ে ভারতকে একটি প্রোডাক্ট নেশন হিসেবে স্বীকৃতি দিই, তাহলে আমি মনে করি এটা একটা বিশাল সুযোগ হবে। চিন যা করছে তা প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ধরা যেতে পারে। ভারতে iPhone ও চিপ তৈরিতে ফক্সকনের আগ্রহ বেড়েছে। এটা খুব ভালো খবর কারণ এত বড় সংস্থা দেশে আসছে।”
2023-03-18