নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কান্ডে ধৃত হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Banerjee) ইডির জেরায় টানলেন প্রভাবশালী প্রসঙ্গ। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান তিনি সব কাজ করেছেন প্রভাবশালীদের নির্দেশে। শান্তনুকে সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ।
এমনই চাঞ্চল্যকর খবর শুক্রবার পাওয়া গেছে ইডি মারফত। এবার তদন্তকারীরা শান্তনুর কাছে জানতে উদগ্রীব যে এই প্রভাবশালী কারা? ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে খবর, শান্তনু বলেছেন তিনি যাবতীয় কাজ করেছেন প্রভাবশালীদের নির্দেশে। শান্তনুকে দিয়ে সেইসব নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করানোর দায়িত্ব ছিল কুন্তল উপর। কিছুদিন আগে শান্তনু বলেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের মাস্টারমাইন্ড হলেন কুন্তল ঘোষ।
তবে বর্তমানে শান্তনুর বয়ান থেকে স্পষ্ট এর আগে তিনি তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার জন্য এই সব কথা বলেছিলেন। বর্তমানে তদন্তকারীরা শান্তনুর মুখ থেকে প্রভাবশালীদের নাম জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন যাদের নির্দেশে তিনি কাজ করতেন বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে, শুক্রবার শান্তনুর ২৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শান্তনুর স্ত্রী ও তার কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।জানা গিয়েছে, এই অ্যাকাউন্টগুলিতে রয়েছে এক কোটি টাকারও বেশি। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখছেন এই অ্যাকাউন্টগুলি। কার কার কাছে টাকা গিয়েছিল বা কোথা থেকেই’বা এই অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা এসেছিল সব বিষয়েই পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করেছে ইডি আধিকারিকরা।অপরদিকে, তৃণমূল বুধবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল থেকে বহিষ্কার করে। গ্রেফতার হওয়ার পর এই দুর্নীতি মামলায় কুন্তলকেই ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে দাবি করেছিলেন শান্তনু। নিজেকে নির্দোষ বলেও জানান।দল থেকে বহিষ্কারের কথা শুনে কাঁদতেও দেখা যায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শান্তনু যে কোনভাবেই প্রভাবশালী নয় সেই কথা প্রমাণ করার জন্য দলের এই সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করতে মরিয়া তিনি।