২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ক্ষমতায় আসার পরই রাজ্যকে অপরাধমূলক কাজ এবং দুষ্কৃতীদের ছায়া থেকে দূরে রাখার শপথ নেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। দুর্নীতির সাথে কোনও রকম আপস করবে না, এই মন্ত্রেই রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকেও অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার যোগী সরকারের পক্ষ থেকে এক পরিসংখ্যান সামনে আনা হয়, আর তা দেখেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।
তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ বছরে ১০,০০০ ‘এনকাউন্টার’ (Encounters) হয়েছে যোগীর উত্তরপ্রদেশে। এর মধ্যে ৬৩ জন দুষ্কৃতীকে খতম করা হয়েছে। তবে সেই সঙ্গে এনকাউন্টারের সময় একজন পুলিশ অফিসারও শহিদ হয়েছেন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে উত্তরপ্রদেশ সরকার মাফিয়া, দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে, আর তাতেই এই পরিসংখ্যান।সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সে রাজ্যের মীরাটেই এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি এনকাউন্টার হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সেখানে হওয়া মোট এনকাউন্টারের সংখ্যা ৩ হাজার ১৫২টি। এরপরেই রয়েছে আগ্রা, সেখানে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৮৪৪টি এনকাউন্টারের তথ্য সামনে এসেছে। যাতে এনকাউন্টারে প্রাণ হারিয়েছে ৬৩ জন অপরাধী। আহতদের সংখ্যা ১ হাজার ৭০৮। তবে এই ঘটনায় একজন পুলিশ অফিসার প্রাণ হারানোর পাশাপাশি ৪০১ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। এমনটাই দাবি করা হয়েছে সরকারি তথ্যে।যদিও সম্প্রতি লখনউ-এর এডিজি প্রশান্ত কুমার একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১৭৮ জন অভিযুক্ত মারা গিয়েছেন। এই এনকাউন্টারে আমাদের যে বাহাদুর সঙ্গীরা শহিদ হয়েছেন, তাদের সংখ্যা ১৫। ১৪২৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। ” পাশাপাশি এই সব এনকাউন্টার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।