বর্ষাকালে বজ্রপাত খুবই সাধারণ ঘটনা। কিন্তু এই বাজের কারণে প্রায়ই ঘটে প্রাণহানির ঘতনাও। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয় সাধারণ মানুষকে। এর থেকে বাঁচতে আবহাওয়া দফতর এবার পরামর্শ দিচ্ছে দামিনী অ্যাপ ব্যবহার করার। কী এই দামিনী অ্যাপ। আসুন দেখে নি একনজরে।
২০১৯ সালের নভেম্বরে IITM (Indian Institute of Tropical Meteorology) পুনে এবং ESSO (Earth System Science Organisation) ভারত সরকার, দামিনী নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে। বজ্রপাতের আগাম সতর্কতার অ্যালার্ট দেওয়াই এই অ্যাপের অন্যতম প্রধান কাজ। মোবাইল গ্রাহকের ইউজার লোকেশন অন থাকলে তবেই এই অ্যাপ কাজ করে।
গুগল প্লে স্টোর থেকে যেকোনও অ্যানড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারি এই অ্যাপ ডাউনলোড এবং ব্যবহার করতে পারেন। মাত্র দুই মাসের চেষ্টায় এই অ্যাপ তৈরি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এটাই সর্বাধিক কার্যকরী বজ্রপাত সতর্কতা অ্যাপ।
স্থানীয় বজ্রপাতের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে এই অ্যাপ ক্রমাগত গ্রাহককে অ্যালার্ট দিতে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে গ্রাহককে সম্ভাব্য বজ্রপাতের এলাকার ২০ কিলোমিটার বৃত্তের মধ্যে থাকতে হবে। তবে এই ২০ কিলোমিটার বৃত্তের মধ্যে নির্দিষ্ট কোন জায়গায় বাজ পড়বে সেই পারফেকশন এখনও পর্যন্ত তৈরি করা যায়নি।
প্রযুক্তি উন্নত করতে নিরন্তর গবেষণা চলছে বলে জানা গিয়েছে। মাত্র ২.৬৩ জিবির এই অ্যাপ আপনার ফোনের RAM-এ সামান্য মেমরি অকুপাই করে থাকবে। কিন্তু মারন বজ্রপাতের হাত থেকে আপনাকে বাঁচাতে এটিই এখনও পর্যন্ত সবথেকে কার্যকরী অ্যাপ।
প্রাথমিকভাবে এর সতর্কতা পরিধি ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ হলেও, সার্বিকভাবে ৪০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ পর্যন্ত বাজ পড়ার ন্যূনতম আশঙ্কা আছে কিনা, তাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দামিনী জানিয়ে দেয়।
উদাহরণ স্বরূপ, এই মুহুর্তে কলকাতায় বসে দামিনী অ্যাপ নিজের ফোনে খুললে অ্যাপ দেখিয়ে দিচ্ছে, আগামি ৪৫ মিনিট কলকাতার কোথাও বজ্রপাতের সম্ভাবনা নেই। যেই মুহুর্তে সম্ভাবনা তৈরি হবে, সঙ্গে সঙ্গে আপনি অ্যাপ ওপেন করুন বা না করুন, আপনার স্ক্রিনে দামিনী অ্যাপ ক্রমাগত অ্যালার্ট পাঠাতে শুরু করবে। শর্ত একটাই, আপনার ফোনের ডেটা অন থাকতে হবে। এবং আপনার জিপিএস অন থাকতে হবে। ব্যাস তাহলেই আপনাকে নিরন্তর সতর্ক করার দায়িত্ব দামিনীর।