চৈত্রের পয়লা তারিখেই এই মরশুমের প্রথম কালবৈশাখি পেল কলকাতা। দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় দেখা গেল কালবৈশাখি। কালবৈশাখির হাত ধরে নামল পারদ। স্বস্তি ফিরল বঙ্গে।
দমদমে কালবৈশাখি আছড়ে পড়ল ঘন্টায় ৬৪ কিলোমিটার বেগে। স্থায়িত্ব দেড় মিনিট। আলিপুরে কালবৈশাখির গতিবেগ ঘন্টায় ৪৮ কিলোমিটার। স্থায়িত্ব দুই মিনিট। এ ছাড়াও কালবৈশাখি পেল নদীয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলা। দক্ষিণবঙ্গের যে সকল জেলা বৃহস্পতিবার কালবৈশাখি পেল না, সেগুলিতে শুক্রবার দুপুরের পর যেকোনও সময় কালবৈশাখি হওয়ার অত্যন্ত উজ্বল সম্ভাবনা রয়ছে। এক্ষেত্রে দেড় থেকে দু ঘণ্টা আগে নাওকাস্ট সতর্কতা জারি করবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
উত্তরবঙ্গে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ কালবৈশাখির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলায় আজও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি এবং বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি হতে পারে দর্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর এবং মালদায়।
দক্ষিণবঙ্গে ১৯ মার্চ পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির অনুকুল পরিস্থিতি রয়েছে। শুক্রবার দিনের বিভিন্ন সময়ে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ১৮-১৯ মার্চ বৃষ্টির পরিমাণ একটু বাড়তে পারে। তবে শনিবার থেকে ঝোড়ো হাওয়ার গতি কমে ৩০-৪০ কিমি হবে।
কলকাতায় প্রধানত মেঘলা আকাশ দেখা যাবে। সূর্যের দেখা মেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কালবৈশাখির হাত ধরে রাতারাতি কমল তাপমাত্রা। ফিরল স্বস্তি মহানগরে। বৃহস্পতিবার দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কমে ৩১.৯ ডিগ্রি ছিল। রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কমে ২০.৭ ডিগ্রি হয়েছে।