চিনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে ভারতের সাথে হাত মেলাল বাংলাদেশ! করল সবথেকে বড় চুক্তি

পাইপলাইনের নামই হল ‘ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’ (Friendship Pipeline)। আসামের (Assam) নুমালিগড় পরিশোধনাগার থেকে ডিজেল এই পাইপলাইন দিয়ে শিলিগুড়ি হয়ে বাংলাদেশে যাবে। বংলাদেশের দিনাজপুর জেলায় পার্বতীপুর অয়েল ডিপোয় ডিজেল পৌঁছবে। বংলাদেশ পেট্রোলিয়াম  কর্পোরেশন (Bangladesh Petroleum Corporation) এই ডিজেল বিক্রি করবে।আগামী ১৮ মার্চ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ২০১৮ সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর অফিস এই প্রকল্পের নজরদারি করেছে। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছে ৩৮৮ কোটি আট লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ভারত সরকার দিয়েছে ২৮৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা এবং নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড দিয়েছে ৯১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।ভারতেশিলিগুড়ি থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে এই পাইপলাইন। বাকি ১২৫ কিলোমিটার পইলাইন আছে বাংলাদেশে। এই পাইপলাইনের মধ্যে দিয়ে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল বাংলাদেশে পাঠানো যাবে।পরিশোধিত তেল কেনার জন্য বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে। ২০২০ সালে বংলাদেশ ২৬৪ কোটি ডলার খরচ করেছিল। তারা ছিল পরিশোধিত তেল আমদানির তালিকায়  বিশ্বের ৪২তম দেশ। ওই বছর সিঙ্গাপুর, চীন, ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে সবচেয়ে বেশি পরিশোধিত তেল কিনেছিল বাংলাদেশ।ভারতের নুমালিগড় থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত এই পাইপলাইনের কারণে উত্তরাঞ্চলের দৈনিক অতিরিক্ত ২৯ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি মজুদ সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। সহজে বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ করা, উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় কম খরচে এবং দ্রুততম উপায়ে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে এই পাইপলাইনের মাধ্যমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.