অঘটনের আশা নিয়ে স্পেনের রাজধানীতে গিয়েছিল লিভারপুল। তবে মহম্মদ সালাহদের স্বপ্ন পূরণ হল না। ঘরের মাঠে তিন গোলে পিছিয়ে থেকে বিপক্ষের মাঠে অলৌকিক কিছু করার আশা শেষ করে দিল রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার রাতে ঘরের মাঠেও লিভারপুলকে তারা হারাল ১-০ গোলে। ম্যাচের একমাত্র গোল করিম বেঞ্জেমার। সব মিলিয়ে ৬-২ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল। আরও একটি ট্রফি জেতার আশা শেষ হয়ে গেল লিভারপুলের।
লিভারপুলের মাঠে যতটা ধ্বংসাত্মক ছন্দে দেখা গিয়েছিল রিয়ালকে, ঘরের মাঠে সেই দাপট ছিল না। কার্লো আনচেলোত্তির ছেলেরা বরং বেশি মন দিয়েছিল তিন গোলের ব্যবধান ধরে রাখার ক্ষেত্রে। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আরও বেশি ব্যবধানে জেতার কথা ছিল তাদের। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার শট ক্রসবারে লাগে। লুকা মদ্রিচ অল্পের জন্য গোল করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে বেঞ্জেমা গোল করেন।
ভিনিসিয়াস জুনিয়র অনায়াসে লিভারপুলের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে গোলের কাছাকাছি পৌঁছে যান। সেখান থেকে তাঁর নিখুঁত পাসে পা লাগিয়ে অনায়াসে গোল করেন বেঞ্জেমা। বাকি সময়ে লিভারপুল সমতা ফেরাতে পারেনি। সালাহর পাশাপাশি ডারউইন নুনেজ়, কোডি গাকপোকে রাখা সত্ত্বেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি লিভারপুল।
ম্যাচের পর বেঞ্জেমা বলেন, “প্রথম পর্বে ওই জয়ের পরেও এটা কঠিন ম্যাচ ছিল। প্রথম থেকেই আমরা শাসন করতে চেয়েছি। আশা করি সমর্থকরা আমাদের খেলা দেখে আনন্দ পেয়েছেন। আপাতত নজর রবিবারে।” ওই দিন বার্সেলোনার মাঠে ‘এল ক্লাসিকো’ খেলতে নামবে রিয়াল। জিতলে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমানো যাবে। হারলে বার্সেলোনার লা লিগা ট্রফি কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাবে।
ম্যাচের শেষে দারুণ একটি জিনিস দেখা গেল। রিয়ালের স্টেডিয়ামে বেজে উঠল ‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন’ গান। তাতে গলা মেলালেন দু’দলের সমর্থকরাই। এটি লিভারপুলের সমর্থকদের জনপ্রিয় গান। বিপক্ষকে হারালেও তাদের প্রতি যে কোনও অশ্রদ্ধা নেই, এই গান বাজিয়ে সেই বার্তাই দিল রিয়াল।
অন্য ম্যাচে, নাপোলি ৩-০ হারিয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্টকে। দুই পর্ব মিলিয়ে ৫-০ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে গেল তারা।