করোনা তো ছিলই। এর মধ্যে দেশে একদিকে অ্যাডিনো-হানা। আর সঙ্গে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। হরিয়ানা ও কর্নাটকে এই ভাইরাসে কদিন আগেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কর্নাটক থেকেই প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়, দ্বিতীয় মৃত্যু হরিয়ানাতে। এবার মৃত্যুর খবর এল মহারাষ্ট্র থেকে। সেখানে এই নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হল H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থেকে। দুটি মৃত্যু নাগপুর থেকে, একটি আহমেদনগর থেকে। সেখানে অ্যাকটিভ কেস দাঁড়াল ৫৭-তে! মহারাষ্ট্রে H1N1-য়েও মৃত্যু হয়েছে। এ থেকে গোটা ভারতে H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস-পরিস্থিতি নিয়েই ছড়িয়েছে উদ্বেগ।
সেখানে বছর তেইশের এক মেডিক্যাল স্টুডেন্ট এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে খবর। এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার পোস্টমর্টেম করে তাঁর রক্তে H3N2 ভাইরাসের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছে। যদিও তিনি কোভিডেও আক্রন্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে, আশঙ্কা করা হচ্ছে, H3N2-এর জেরেই মৃত্যু ঘটেছে তাঁর। সেটা সত্য হলে, এই নিয়ে দেশে তিনজনের মৃত্যু H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে।ফলে, দূরের আতঙ্ক আর নিছক আতঙ্ক হয়েই নেই, তা নিয়ে এখন সকলেই কথা বলছে। বলতে গেলে মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে নতুন এই মারণ ভাইরাস।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই ভাইরাসের দাপট বাড়ছে এ দেশে। কলকাতায় এইচ১এন১ ভাইরাস মাথাচাড়া দিচ্ছে বলেও শোনা গিয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর জানাচ্ছে, দেশের কয়েকটি রাজ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের এইচ৩এন২ প্রজাতি ছড়িয়েছে। H3N2 ভাইরাসের জেরে প্রায় ৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা “হংকং ফ্লু” নামে পরিচিত। ভাইরাসটি ক্রমশ ব্যাপক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও চিকিৎকরা আতঙ্কিত হতে বারণ করেছেন। জ্বর বেশিদিন থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে।
আসুন, ভাইরাসটি সম্বন্ধে জরুরি কিছু কথা জেনে রাখা যাক:
কী এই H3N2 ভাইরাস?