কয়েক ঘণ্টা আগে এক সপ্তাহের লম্বা বিদেশ সফর কাটিয়ে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন তিনি। দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পা রাখার কিছু সময় পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিপুল জনাদেশ পেয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য দিল্লির মসনদ দখল করেছেন তিনি। কিন্তু বিদেশ সফর শেষে তাঁর এই রাজনৈতিক সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব দিয়ে দিয়েছেন ১৩০ কোটি ভারতীয়কে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশে ফেরার পর তাঁর বিদেশ সফর নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, একমাত্র তাঁর জমানাতেই বিশ্বের দরবারে আজ ভারত এত নাম অর্জন করছে। প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁর জমানায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমগ্র বিশ্বের নজর পড়ছে ভারতের দিকে যা ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ইতিবাচক দিক বলে ইঙ্গিতও করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রে ফের দ্বিতীয়বার মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার ফলে ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও ভারত আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
আর প্রধানমন্ত্রীর এই আশাকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল তাঁর মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
জানা গিয়েছে, শনিবারই এক সপ্তাহের মার্কিন সফর শেষ করে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পা রাখতেই তাকে সাদর অভ্যার্থনা জানান বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতা, মন্ত্রী, সভাপতি থেকে শুরু করে মোদীর মন্ত্রিসভার অন্যতম প্রিয় এবং মোদী ঘনিষ্ঠ নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। আর শনিবার মোদীকে অভ্যার্থনা জানানোর কয়েক ঘণ্টা বাদেই মোদীর এই বিদেশ সফর নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
মোদী দেশে ফেরার কয়েকঘণ্টা পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মোদী ঘনিষ্ঠ এই মন্ত্রী। এদিন তিনি সাংবাদিকদের সামনে জনগণের উদ্দ্যেশ্যে মোদীর বিদেশ সফর সহ অন্যান্য বিষয়গুলি তুলে ধরেন তিনি। যদিও এক সপ্তাহের মার্কিন সফরে ‘হাউডি মোদী’ ঘিরে মার্কিন মুলুকে অবস্থিত অনাবাসী ভারতীয় সহ অন্যান্যদের মধ্যে মোদীকে নিয়ে কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, মোদী দিল্লি ফেরার পরই অমিত শাহ মোদীজিকে দেশের শ্রেষ্ঠ নেতা হিসাবে তুলে ধরার কথা বলেন। শুধু তাই নয় তিনি আরও জানিয়েছে, মোদীর এই বিদেশ সফর একটি ঐতিহাসিক ভ্রমন সূচি হয়ে থাকুক সকলের স্মৃতিতে। এছাড়াও মার্কিন সফর নিয়ে বলতে গেলে তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা এবং তার সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেওয়ার ঘটনাকে তিনি ঐতিহাসিক অ্যাখা দিতে চান। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই মার্কিন সফর ভারতের অর্থনীতি এবং রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বিশ্ব রাজনীতির আন্তর্জাতিক মঞ্চ গুলিরকাছে।
অমিত শাহ আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে আবার নব্যভারতের জাগরন ঘটবে বলে আশা করা যায়। এবং এটি সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।