প্রোমোটিং ব্যবসায় টাকা লাগিয়েছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার চন্দননগরে মিলল তার হদিশ। চন্দননগরের সত্যপীরতলায় জিটি রোডের পাশে ৬ কাঠা জায়গার উপর তৈরি হবে বহুতল। এভাবেই একের পর এক কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে টাকা খাটছে শান্তনুর।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রেফতারের পরই জানা যাচ্ছে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির কথা। নামে- বেনামে একাধিক জমি, বাড়ি রয়েছে শান্তনুর। শুধু নিজের নামেই নয়। তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও রয়েছে একাধিক বিনিয়োগ। চুঁচুড়ার পর এবার চন্দননগরের এক আবাসন তৈরির ক্ষেত্রে নির্মাণকারী সংস্থার শরিক হিসাবে নাম রয়েছে শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার।
জানা গিয়েছে, চন্দননগরের সত্য পীরতলা এলাকায় একটি জমি কিনে তার উপর “ঐশানী অ্যাপার্টমেন্ট” নামক একটি আবাসন তৈরি হবে। তাতে রয়েছেন তিন জন শরিক। ইন্দ্রনীল চৌধুরী, দিবাকর মুখোপাধ্যায় এবং শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্মাণকারী সংস্থার নাম দেওয়া হয়েছে এই শরিক ৩ জনেরই নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে- ডি. আই. পি।
এই বিষয়ে ইন্দ্রনীল চৌধুরী বলেন, ‘দিবাকর মুখোপাধ্যায় এবং আমি একসাথে পার্টনারশিপে প্রোমোটারি ব্যবসা করি। ২০২০ সালে পরিচয় হয় শান্তনুর সাথে। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে এসে একদিন জানান, তারা আমাদের সাথে পার্টনারশিপে প্রোমোটারি ব্যবসায় যুক্ত হতে চান। সেই মত আমরা তিনজন পার্টনারশিপে ওই আবাসন তৈরির সিদ্ধান্ত নিই।’ তবে এই চন্দননগরেই শেষ নয়। হাওড়ার মুন্সিরহাটে আরও একটি বহুতল নির্মাণ হয়েছে। সেখানেও টাকা ঢেলেছেন ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়।