আচমকা পুলিশের ফোন, কী এমন হল? থানায় ছুটেই আনন্দে আত্মহারা সবাই

 আচমকা ফোন পেলেন অনেকেই। ওপার থেকে ভেসে এলো অফিসারের গলা, থানা থেকে বলছি। কেউ কেউ প্রথমে আঁতকে ওঠেন। কেউ ভুরু কুঁচকান। হঠাত্‍ পুলিশের ফোন কেন ? কারণ শোনার পর অনেকেই আর অপেক্ষা করেননি। বরং তড়িঘড়ি পৌঁছে যান মালদহের চাঁচল থানায়।

এভাবেই ফোনে বার্তা পাঠিয়ে মালদহে বেশকিছু চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দিল চাঁচল থানার পুলিশ।

রবিবার দুপুরে চাঁচল থানা থেকে প্রকৃত মোবাইল ফোন মালিকদের হাতে হারানো ফোন তুলে দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে কারও একমাস, কারও বা দুই মাস বা তার বেশি সময় আগে মোবাইল ফোন চুরি হয়। অনেকে মোবাইল ফোন ফিরে পাওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। বেশিরভাগ ফোনই বহুমূল্য। হঠাত্‍ রবিবার থানা থেকে ফোন মারফত মোবাইলের সন্ধান পাওয়ার পর প্রথমে অবাকই হন তাঁরা। শেষমেষ মোবাইল ফোনের উপযুক্ত নথি দেখিয়ে সাধের ফোন নিয়ে যান থানা থেকে। থানার দুই আধিকারিক তালেমুল হক ও প্রদীপ দাস হারানো মোবাইলগুলি প্রাপকদের হাতে তুলে দেন।

একটি বা দু’টি নয়, একাধিক দামি অ্যান্ড্রয়েড চুরি বা হারিয়ে যাওয়া ফোন উদ্ধার করে চাঁচল থানার পুলিশ। হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফিরে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি প্রকৃত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা। চুরি বা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল খুঁজে বের করে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাঁচল থানার পুলিশকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন সকলেই।

চাঁচলের পাহাড়পুরের বাসিন্দা বাপন মালো ও গোরখপুরের বাসিন্দা শাহজান আলম জানান, বহুু কষ্টে উপার্জন করা টাকা দিয়ে শখ করে মোবাইল ফোন কেনেন। কিন্তু, কেনার মাত্র মাস দুয়েকের মাথায় চুরি যায় তাঁদের মোবাইল ফোন। স্বাভাবিকভাবেই বিষন্ন হয়ে পড়েন তাঁরা। চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোোগ দায়ের করেন। কিন্তু, ইতিমধ্যেই বেশ কিছুদিন সময় পার হয়ে যাওয়ায় ফোন ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। এদিন ফের শখের মোবাইল ফোন হাতের নাগালে চলে আসায় খুশি গোপন করেননি তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.