ঋতু পরিবর্তনের সময় একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়ে দেশজুড়ে। এবছরও ইনফ্লুয়েঞ্জা ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। বেশকিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যুও ঘটেছে। রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসে মৃত্যুর ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। শনিবারেও কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে প্রাণ হারিয়েছে এক শিশু। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ থেকে সাবধানে থাকতে প্রতিটি রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে।
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিব স্বাস্থ্য সচিবদের চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এইচ ১ এন ওয়ান, এইচ ৩ এন ২ এবং অ্যাডিনো ভাইরাসের কথা। কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এইসব ভাইরাসে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। জ্বর, সর্দি, কাশি ছাড়াও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন মানুষ। এসব ক্ষেত্রে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করার যথাযথ পরিকাঠামো রয়েছে কিনা সমস্ত রাজ্যগুলিকে সেদিকে নজর দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিডের প্রভাব সবে কাটিয়ে উঠেছে দেশ। কিন্তু করোনা কালে এই সংক্রান্ত শারীরিক সমস্যা হলে পরীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছিল। কো-মর্বিডিটি যুক্ত রোগীদের শ্বাসকষ্ট বিশেষভাবে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেকথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং একই ধরনের উপসর্গ ফিরে এলে পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন চিঠিতে।
সচিব তার চিঠিতে ১১ দফায় পরিস্থিতির কথা জানিয়ে রাজের মুখ্য সচিবদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এসব রোগের যথাযথ চিকিৎসার দিকে যেন রাজ্য সরকার নজর রাখে।
প্রসঙ্গত, আজকেও রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস ও নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যু অব্যাহত। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার হেলেঞ্চার বাসিন্দা সাত মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে। নয় দিন ধরে এই একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিল সে।