North Korea Missile Attack: ‘আসল যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি কিম জং উনের, একের পর এক মিসাইল ছুঁড়ছে উত্তর কোরিয়া

 যুদ্ধ এবার লাগল বলে! বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার (North Korea) তরফে শর্ট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল (Short Range Ballistic Missile) ছোড়ে। পশ্চিম উপকূল লক্ষ্য করে এই মিসাইল ছোড়া হয়। সূত্রের খবর, একসঙ্গে কমপক্ষে ছয়টি মিসাইল ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। সে দেশের প্রশাসক কিম জং উন (Kim Jong Un) আসল যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহেই আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার মিলিত সামরিক মহড়া (joint Military Exercise) হওয়ার কথা রয়েছে। সেই সময়ই মিসাইল ছুঁড়ে নিজেদের শক্তি জাহির করছেন কিম জং উন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। দেশ ভাগ হওয়ার পর থেকেই ক্রমাগত দক্ষিণ কোরিয়ার জমি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করেছে উত্তর কোরিয়া। পাল্টা জবাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াও। একদিকে যেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকার মতো শক্তিধর দেশগুলির বন্ধুত্ব, সেখানেই উত্তর কোরিয়ার সখ্যতা রয়েছে রাশিয়া, চিনের মতো দেশের সঙ্গে, যেখানে কার্যত একনায়কতন্ত্রেই দেশ শাসন চলে। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই ফের একবার উত্তর কোরিয়া ও দক্ষইণ কোরিয়ার মধ্যে ক্ষমতার লড়াই শুরু হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার দক্ষিণ কোরিয়া লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়ে উত্তর কোরিয়া।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ নাম্পোর পশ্চিম উপকূল এলাকা লক্ষ্য করে মিসাইল ছোঁড়া হয়। ওই মিসাইলগুলি কত দূর উড়ে গিয়ে ও কোথায় আছড়ে পড়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে, আমেরিকার ইন্দো-প্যাসিফিক কম্য়ান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া এই মিসাইলে আমেরিকা বা তার বন্ধু দেশগুলির নিরাপত্তায় কোনও ঝুঁকি নেই। তবে প্য়াংগংয়ের ছোড়া মিসাইল এলাকায় অশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে।

সম্প্রতিই কিম জং উনের বোন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত উত্তর কোরিয়া।

উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া ক্রমাগত যে পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া- দুই দেশ মিলিতভাবে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। সম্প্রতিই দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের তরফে জানানো হয়েছিল, উত্তর কোরিয়া যেভাবে পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে, তার জন্য দেশগুলিকে সামরিক শক্তি বাড়ানো প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.