পাগলের প্রলাপ, অথবা ছাগলের ব্যা ব্যা কি বলা যায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে? নিজের ঘরে ভাত নেই পরের ঘরের খোঁজ নেয়? এসব কেন বলছি? পাকিস্তান নামক নাপাক এক রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চ থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘকে ভারত বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন।
সেই উত্তরে আরএসএসের সহ কার্যবাহ ডক্টর কৃষ্ণ গোপাল বলেছেন যে, সংঘ কেবল ভারতের। ভারত ও সঙ্ঘ একাত্ম। বিশ্বের কোথাও আমাদের কোন শাখা নেই, পাকিস্তান কেন আমাদের উপর রাগ করে? এর অর্থ হ’ল তিনি যদি সংঘের প্রতি রাগান্বিত হন তবে তিনি ভারতের সাথে রাগান্বিত।
তিনি মুচকি হেসে বললেন, ‘আমরাও চেয়েছিলাম যে বিশ্ব, সঙ্ঘ ও ভারত এক হিসাবে বুঝুক, দুয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই এবং আমাদের এই কাজটি ইমরান খান খুব ভালভাবে করে দিচ্ছেন, তাই আমরা তাঁকে অভিনন্দন জানাই।
তিনি ব্যঙ্গ করে বলেছেন যে, ‘ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, পাক প্রধানমন্ত্রী এভাবে কথা বলতে থাকুন। কিছু না করেই – আমরা আমাদের নাম বিশ্বকে প্রেরণ করছি’।
যাঁরা সন্ত্রাসবাদে ভুগছেন, যাঁরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আছেন, তাঁরা বিশ্বে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে শুরু করেছেন যে, আরএসএসের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। তাই সন্ত্রাসবাদী দেশ এই ভাবে আরএসএস তথা ভারত বিরোধিতা করছেন।
আর এই সন্ত্রাসবাদীদের ভয় , তাদের আরএসএসের প্রতি বিরোধিতাই আমাদের বিশ্বে খ্যাতি এনে দিচ্ছে।
কি বলেছিলেন সেই নাপাক দেশের প্রধানমন্ত্রী?
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের আজীবন সদস্য। জাতিসংঘে তাঁর ভাষণে আরএসএসকে উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন যে, আরএসএস শিবিরে হিন্দু সন্ত্রাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আসুন আমরা আপনাকে বলি যে ২০১৩ সালে কি ঘটেছিল? তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের গৃহমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে বলেছিলেন যে, বিজেপি এবং সংঘের প্রশিক্ষণ শিবিরে হিন্দু সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং তাঁর নিকট প্রতিবেদন রয়েছে। তবে কয়েক ঘন্টা পরে শিন্ডে তাঁর বলা কথাটি অস্বীকার করতে থাকেন কংগ্রেস সরকারের। এর পরে শিন্ডে স্পষ্ট সাফাই দিতে শুরু করলেন যে, তিনি হিন্দু সন্ত্রাসবাদকে নয়, বরং গৈরিক সন্ত্রাসবাদের কথা বলেছেন।