#বীরভূমের_পটকথা_ও_দুর্গা

#পর্ব_৪


হর্ষিত হয় বীরচন্দ্রপুরের
বাঁকারায়ের কাছে প্রদীপ জ্বালিয়ে।
সোনার ছেলে তারাশঙ্কর বন্ধ্যোপাধ্যায়
বাড়িয়েছে মোর সম্মান
জয়দেববাবার গীতগোবিন্দতে
চর্চিত দিনমান।
তিলপাড়ার ওই জলকেলিতে
হয় বড়ই উল্লসিত
নন্দীকেশ্বরী নলহাটেশ্বরী কঙ্কালিতলায়
আমি বড়ই সজ্জিত।


যিনি যেভাবে পেরেছেন তিনি সেইভাবে বীরভূমকে ব্যাখ্যা করেছেন। বীরের দেশ বা ভূমি ….তাই সে বীরভূম। সাঁওতালি ভাষায় বির মানে জঙ্গলময় দেশ….তাই সে বীরভূম। গভীর অরন্য…তাই তাকেই তন্ত্রের জন্য বেছে নিয়েছিলেন… বীরাচারী তান্ত্রিক ভূমি…তাই সে বীরভূম। এসব কথা তো প্রথম পর্বেই বলেছি। শোনা যায় বীর নামে এক প্রকার ঘাস জন্মাত …তার নাম বীরভূম। 
কিন্তু সেই যে বীর রাজার কথা বলেছিলাম।সেই রাজার মতটিকেই ঐতিহাসিক  সবচেয়ে জোরালো মনে করেন।শোনা যায় একসময় এই ভূমিতে রাজত্ব করেছিলেন বীরসিংহ , চৈতন্য সিংহ, ফতে সিংহ তিন ভাই… রাজা বীরসিংহ প্রথম বীরভূমকে একটি রাজনৈতিক সংহতি দান করতে সমর্থ হন।

পূর্বে উপজাতি অধ্যুষিত বীরভূম কেবলই একটি ভুষন্ড ছিল। সেটি মগধ হতে শুরু করে পাল হয়ে সেন অধিকৃত ভূখণ্ড হয়েছিল। মহিমানিরঞ্জন চক্রবর্তী তাঁর #বীরভূম_রাজবংশ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন , কালক্রমে তিন রাজপুত্র বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তাঁরা নিজ নিজ নামানুসারে তিনটি পৃথক  রাজ্য স্থাপন করেছিলেন।বীরসিংহ বীরসিংহ বীরভূমে রাজ্য স্থাপন করলেন।রাজধানীর নাম হল বীরসিংহপুর। হান্টার সাহেবের কথানুসারে এই সময় এখানে বাস করতেন পাহাড়িয়া, মালিয়া, বাগদি, ঢিকারো ইত্যাদি সম্প্রদায়। হান্টার সাহেবের মতে এই পাহাড়ি জাতির সঙ্গেই প্রথম বীরসিংহের যুদ্ধ হয়।  বীরসিংহই প্রথম বীরভূম রাজ্যের অধিপতি।


বীরভূমের ইতিহাসকার গৌরীহর মিত্র মহাশয় বীরসিংহের অস্তিত্বকে জনশ্রুতির মধ্যেই  আবদ্ধ রেখেছেন। তবে উত্তম মন্ডল মহাশয় ” গড় রাজনগর থেকে নগররাজ” এই গ্রন্থে বীরসিংহের অস্তিত্বকে মেনে নিয়েছেন।বক্রেশ্বর মন্দিরে সানন্দে বীররাজার নাম পাওয়া যায়।এই বীর রাজার রাজধানী বীরসিংপুর থেকে কালক্রমে বীরভূমের রাজধানী হয়ে ওঠে রাজনগর । এখানেই দীর্ঘকাল বীর উপাধিধারী রাজারা রাজত্ব করতেন।মোটামুটিভাবে হিসাব অনুসারে বীরসিংহ বঙ্গে সেন বংশের পতনের কালে , কিন্তু যখন তুর্কি রাজত্ব দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারেনি সেই সময় তিনি বীরভূমের আসনে বসেন।


এরপর থেকে প্রায় ৪০০ বছর রাজনগরের সিংহাসনে কখনো উড়িষ্যার নরসিংহ দেব,  কখনো বীর রাজা বসেছেন আবার কখনো বা পাঠানরা বসেছে। ১৬০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে রাজনগরের প্রতিষ্টিত হয় বৈদেশিক  পাঠান শাসন।  অর্থাৎ নরসিংহদেব( ১২৪৪ খ্রিস্টাব্দ) এবং বাহাদুর খাঁ বা রণমস্ত খাঁ( ১৬০০ খ্রিস্টাব্দ) মধ্যবর্তী সময়কে নিয়ে গড়ে উঠেছিল বীররাজাদের রাজত্ব।


বীর রাজাদের নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতানৈক্য থাকলেও থাকতে পারে …..কিন্তু বীরভূমে জনমানুষের বীর রাজাদের স্থান এখনো প্রভাবশালী। তাই তাঁদের নিকট সত্য,  তাঁরা তাই বীরভূম বাসী। বীরভূমের বুকে এ এক অমর কিংবদন্তি। বীরভূমে  সিউড়ির নিকট খটঙ্গা গ্রাম , যেখানে দুটি পটের দুর্গা- পূজার দেখা পাওয়া যায় । এই দুই  দুর্গাপূজকগন দাবি করেন যে এই পূজা বীরসিংহের প্রতিষ্ঠিত। সেই প্রসঙ্গে একটি বংশতালিকা সূত্র আসে। সেই বংশতালিকার শীর্ষ নামটি হল বীরসিংহের। তাঁরা রাজপ্রাসাদের চিহ্ন হিসেবে ধ্বংসাবশেষের কথা বলেন দুর্গা মন্দিরের কিছু দূরে জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চলে ।
 বর্তমান পূজকদের সঙ্গে বীর রাজাদের সম্পর্ক সূত্রটি এরকম -বীরসিংহ > অধস্তন কয়েক পুরুষ > রাজ ভীম সিংহ>রাজা দরিয়া সিংহ>দুর্গাচরণ রায় > মুকুন্দলাল রায় (১ ম পক্ষ) > কালীচরণ রায় >রামকৃষ্ণ রায়>ধনুচন্দ্র রায়>রামচন্দ্র রায় >জানকী নাথ রায়>ভৈরবনাথ রায়>নন্দলাল রায় > সঞ্জিত রায় ( বড় শরিক), চন্দন রায় ( মেজো তরফ) , অশোককুমার রায় ( ছোট তরফ) ।


 শোনা যায় ঘটনার খটঙ্গার এই পূজা বীরভূমের প্রাচীনতম পূজা।দেবী মূর্তি পূজা না করার কারণ হিসেবে জানা যায় যে এই সিংহ বংশের বংশ শাক্ত,  কালী তাঁদের কুলদেবী।  প্রাচীন সেই কালীমূর্তি পাষান নির্মিত। তাই এই রাজবংশের মাটিতে কোন মূর্তি পূজা হয়না। এই কালীমূর্তি বীরসিংহপুরে অবস্থিত। কথিত আছে মগধের রাজা জরাসন্ধ পূজিত ছিলেনএই কালী বিগ্রহ। যুদ্ধ-বিগ্রহ ইত্যাদি কারণে বা কোনভাবেই পরে সেই বিগ্রহ রাজনগরে চলে আসে। রাজা বীরসিংহ রাজনগরের কালিদহ নামক পুষ্করিণীর মধ্যে এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। রাজনগর পুনরায় বৈদেশিক আক্রমনে আক্রান্ত হয়ে তাদের অধীনে চলে গেলে,  শোনা যায় এই কালীমূর্তি নাকি নিজেই কালিদহ ভেঙে নদীপথে বীরসিংহ পুর এর কাছে পৌঁছেছিলেন। বিগ্রহ নদী থেকে তুলে এনে বীরসিংহপুর মন্দিরের মধ্যে তাঁকে স্থাপিত করা হয়। আজও তাঁর পূজা সমানভাবে প্রচলিত আছে।


এই কালীর সঙ্গে দুর্গাপূজার সম্পর্ক রীতিকানুনেই বোঝা যায়। দশমীর দিন মাদুর্গার বিসর্জনের পর কালীবাড়িতে পূজা হয়। পুরোহিত দেবদাস মুখার্জির কথা অনুসারে, যিনিই মা কালী তিনিই দুর্গা , আদ্যা শক্তি মহামায়া। তাই তাঁর সন্তুষ্টির জন্য রাতে ওখানে পূজা দেয়া হয় । 
পূর্বে  রাজবংশের প্রথা ছিল বিজয়াদশমী করে যুদ্ধে যাওয়া ।আগেকার দিনে দুর্গা কালী পূজা করে ,বলি দিয়ে, রক্ত তিলক নিয়ে রাজারা যেতেন রাজ্য দখলে। তবে এখন আর সে রাজাও নেই , সে রাজপাট , রাজ্যও নেই,  যুদ্ধনীতি চলে গেছে, কিন্তু নিয়ম রয়ে গেছে।  বীরভূমের গ্রাম ঘরে বিজয়া দশমীর দিন একটি অনুষ্ঠান হয় তার নাম যাত্রাসাৎ ।বাড়ির সকলে মিলে দশমীর অনুষ্ঠান করে তারপর শুরু হয় গুরুজনদের প্রণাম করা। এই অনুষ্ঠানে ঘরের বিভিন্ন যন্ত্র এবং অস্ত্র পূজা করা হয় । তাদেরকে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয় চন্দনের ফোঁটা দেওয়া হয় । এটি অতি প্রাচীন প্রাচীন প্রথার অনুরণন । 


 দূর্গা পূজা শেষে গ্রামের অন্যদেবীর কাছে পূজা দেওয়ার প্রথা অন্যান্য বহু গ্রামে প্রচলিত আছে । যেমন – কোমা দেখতে পাওয়া যায় বিসর্জনের পর শুধুমাত্র পুরুষেরা অপরাজিতার ডাল হাতে বেঁধে সেই গ্রামের গ্রামদেবী মনসা তলায় ষোড়শপচারে পূজা দিতে যান । আবার রাজনগরের দে পরিবারের বিসর্জনের পর গৃহে ঢোকার আগে অনেক কিছু নিয়ম পালন করতে হয়। জলন্দিতে দশমী পূজার পর গ্রামে জলেশ্বরীতলায় পূজা এবং কুমড়ো বলি দেয়া হয়। এমনটি লক্ষ্য করা যায় অন্যান্য বহু গ্রামেও…. 
পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় তাঁর বাঙালীর দুর্গোৎসব প্রবন্ধে  বলেছেন – ” চন্ডীর উপাসক গন একটা দীর্ঘ সময় ঘট স্থাপন করিয়া চন্ডীর পূজা করিতেন। ” তিনি আরো বলেছেন ,” ভগবানকে ভাবময়রূপে পূজা করিতে হইলে, সেই ভাবের ভিতর দিয়া তাঁহার সর্ববৈর্শর্যের স্ফুরণ হইয়া থাকে। এইটুকু জপে বুঝা যায়।জপের ফলে প্রথমে বিভীষিকা, পরে প্রলোভন, শেষে সমীপ্য ঘটিবেই ঘটিবে।….ভয় ও ত্রাসের উপর বিভীষিকার প্রভাব ,কাম ও লোভের উপর প্রলোভনের বিস্তার। এসকল কাটিয়া উঠিতে পরিলেই ঐশ্বর্য অনুভূতি ঘটে। “….এই ঐশ্বর্য দর্শন হইতেই দেবী চিন্ময়ী থেকে মৃন্ময়ী রূপে পূজিতা হন।

শিব হলেন গিরিষা (পর্বতের দেবতা) এবং দুর্গা হলেন গিরিজা ; শৈলপুত্রী , উমা , হৈমবতী এবং পরবর্তীতে পার্বতী । শিব হলেন উমাপতি শক্তিরুপিনী দুর্গা হলেন মহেশ্বরী , ঈশাণী মহাদেবী ,মহাকালী এবং শিবানী । বিভিন্ন নামের মধ্যে দিয়ে বর্ণিত হয়েছে তার চরিত্রের বিভিন্ন দিক যেমন কালি (ধংসাত্মক) , করালি (ভয়ানক) , ভীমা (ভয়াবহ) , চণ্ডী /চণ্ডিকা /চামুণ্ডা (ক্রোধান্বিতা ) , দুর্গার অসুরনিধন এর মধ্যে রয়েছে মহিষাসুর , রক্তবীজ , শম্ভু এবং নিশুম্ভ, চণ্ডা এবং মুন্ডা ।

মহাভারতে যুধিষ্ঠির এবং অর্জুন-কে দুর্গা-স্তোত্র দুটি ভিন্ন পর্বে পাঠ করতে দেখা যায় (ভিরাট পর্ব এবং ভীষ্ম পর্ব) । হরিবংশে বিষ্ণুপর্বে দুর্গার উদ্দ্যেশে যে আর্য স্তব রয়েছে সেখানে দেবীকে-আর্য , নারায়ানি , ত্রিভুবনেশ্বরী , শ্রী , রাত্রি , কাত্যায়নী , কৌশিকি , অপর্না , নাগ-শর্বরী নামে সম্বোধন করা হয়েছে । উল্লেখ্য দেবীর সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে পর্বত (বিশেষত বিন্ধ্য) , নদী , গুহা , অরণ্য , বনানী , এবং পশু (বণ্য ও গৃহপালিত) প্রভৃতির নাম ; একইসাথে শবর , বর্বর , পুলিন্দা্‌র উপজাতিদের মধ্যেও দেবীর আরাধনা এই নাম গুলির মাধ্যম সংযুক্ত হয়েছে । তাঁকে নন্দগোপের কন্যা ও বলদেবের ভগিনী হিসেবেও দেখা যায় । সোমরস , মাংস , এবং বলিদানের মাধ্যমে দেবীর আরাধনা রীতি যেমন দেখা যায় তেমনই দেবীকে দেখা হয়েছে জগতের রক্ষাকর্তা হিসেবে । তিনি সকলেরই আরাধ্যা।

মল্লরাজ বাড়ির বংশ বসন্ত সিংহের পটে মা দুর্গার পূজা

শ্রীশ্রী চণ্ডীর ত্রয়োদশ অধ্যায়ের দশম শ্লোকে বর্ণিত আছে যে, সত্য যুগে রাজ্যহারা মহারাজ সুরথ ও আত্মীয়-স্বজন পরিত্যক্ত সমাধিবৈশ্য যথাক্রমে রাজ্যলাভ ও দুর্গতি মুক্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে মহামায়ার ‘মহীময়ী’ মূর্তি নির্মাণ করে দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন। ঐ ‘মহীময়ী’ মূর্তিই হাজার হাজার বছর ধরে সনাতনী  দুর্গামায়ের মৃন্ময়ী প্রতিমা।

ঋগবেদে বিশ্বদুর্গা, সিন্ধুদুর্গা ও অগ্নিদুর্গার উল্লেখ আছে। কালীকা পুরাণ, দেবী পুরাণ, মৎস্য পুরাণ ও বৃহন্নন্দিকেশ্বর পুরাণে দুর্গা পূজার পদ্ধতি লিপিবদ্ধ আছে বিস্তৃতভাবে। বৃহন্নন্দিকেশ্বর পুরাণে বর্ণিত পূজা পদ্ধতিটি বর্তমানে প্রায় সর্বত্রই সমাদৃত। কৌটিল্যের ‘অর্থ শাস্ত্র’ অনুযায়ী সেই প্রাচীন কাল থেকেই ‘অপরাজিতা পূজা’ তথা দুর্গাপূজা এদেশে চলে আসছে।

দুর্গা পূজার সঙ্গে অন্যান্য দেব দেবীর পূজার একটি যোগ প্রায়শ  লক্ষ্য করা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেবীর পূজার সঙ্গে গ্রাম দেবতার, আবার বহু পরিবারে পারিবারিক দামোদর , বিষ্ণু, কালী, মনসা ইত্যাদি পূজার যোগ রয়েছে। এসব পরিবারের কেউ কেউ বলছেন পরিবারের অষ্টভূজা সিংহবাহিনী মূর্তির সাথে শালগ্রাম শিলার পূজার কথা, কেউ বা দামোদর পূজার কথা, কেউ বা কালী পূজার কথা। উদাহরণ স্বরূপ – মণ্ডল পরিবার – ইন্দ্রগাছা , দে পরিবার -রাজনগর , গুপ্তপরিবার- দ্বারন্দা, বড়বাড়ি – খটঙ্গা ইত্যাদি পরিবারে এই নিয়ম পালন করা হয় । তাঁদের কথা অনুযায়ী বাড়িতে সিংহবাহিনী মূর্তির থাকার কারণেই ও পূজা হবার কারণেই মা দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তি হয়না । যেমন – দে পরিবার – রাজনগর, মন্ডল পরিবার- ইন্দ্রগাছা । রাজনগরের দে পরিবারের পুরোহিতের মত অনুসারে এখানে অষ্টধাতুর সিংহবাহিনী মূর্তি রয়েছেন। সেই মূর্তির প্রতিবিম্ব আয়নায় পাওয়া যায় না। তাই পটের ছবিকে অবলম্বন করা হয়  । সেই পটের ছবি বা প্রতিবিম্বিত আয়নায় পড়লে মায়ের আবাহন এবং  স্নান ইত্যাদি নিয়ম পালন সম্ভব হয় ।


এইসব আচার-আচরণ রীতিনীতির পিছনে থাকে বহুকালের চর্চিত অভ্যাস। কোথাও পারিবারিক রীতি ,কোথাও প্রাচীন সনাতনী সংশ্লেষ, আবার কোথাও আদিম ধর্মবিশ্বাস। দুর্গাপূজার সঙ্গে গ্রাম দেবতার সম্পর্ক দেখে মনে হতে বাধ্য – এর রীতি প্রাচীন আদিম নিয়ম হতে উদ্ভব। যেদিন পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন থেকে শক্তি প্রকাশিত হয়েছে প্রকৃতির মাধ্যমে অথবা বলা যেতে পারি শক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর সৃষ্টি। তাই প্রকৃতির সঙ্গে, গ্রাম দেবতার সঙ্গে, সেই শক্তির সম্পর্ক আত্মিক।

এই তো তোমার আলোকধেনু সূর্য তারা দলে দলে–
কোথায় ব’সে বাজাও বেণু, চরাও মহাগগনতলে ॥   
  তৃণের সারি তুলছে মাথা,   তরুর শাখে শ্যামল পাতা–    
আলোয়-চরা ধেনু এরা ভিড় করেছে ফুল ফলে ॥


#ক্রমশঃ

#দুর্গেশনন্দিনী

তথ্যঃ ১. পটের দুর্গা : বীরভূম

২.পট : বিমলেন্দু চক্রবর্তী

1 Comment

  1. আমি নীলকণ্ঠ রায় গোত্র শাণ্ডিল্য কুলদেবী কালী৷পূর্বপুরুষদের নিকট শুনেছি আদি বাড়ি খটঙ্গা সিউড়ি নিকট৷
    মতে প্রার্থনা খটঙ্গা রাজবাড়ির গোত্র বলবেন৷Mobile no 9333500320

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.