২০৫০ সালের মধ্যে বহু শহরই প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে সম্প্রতি জাকার্তার কপাল পুড়েছে। কেননা ক্রমশ সমুদ্রে তলিয়ে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীশহর। যদিও সেটা অন্য কারণে। মানে, উষ্ণায়নের কারণে ঠিক নয়। জলস্তর নেমে যাওয়ায় ক্রমশ বসে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী। তাই রাজধানী দেশের অন্যত্র সরিয়ে ফেলার তোড়জোড়ও শুরু করে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন। ১৭ অগাস্ট ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবস। ঠিক হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৭ অগাস্টের দিনেই এই নতুন রাজধানীর উদ্বোধন হতে পারে। জাকার্তা থেকে ২,০০০ কিলোমিটার দূরে বোর্নিওতে তৈরি হচ্ছে নতুন এই রাজধানী। পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে, তবে পুরো কাজ শেষ হতে-হতে ২০৪৫ সালের অগাস্ট।
জাকার্তা বিশ্বের জনবহুল শহরগুলির অন্যতম। এই শহরের দূষণের মাত্রাও বিপজ্জনক। তাছাড়া ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকেই। এবং ভূগর্ভস্থ জল দ্রুত তুলে নেওয়ার কারণে ক্রমশ বসে যাচ্ছে শহরটি। পরিস্থিতি এমনই যে, আশঙ্কা ২০৫০ সালের মধ্যে শহরের এক-তৃতীয়াংশ জাভা সাগরের তলায় চলে যেতে পারে!
ইতিমধ্যেই বোর্নিওতে নতুন রাজধানী প্রতিষ্ঠার পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। নিরাপত্তার কারণে সবাইকে নির্মীয়মাণ এই শহরে আপাতত ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
ইন্দোনেশিয়া প্রশাসনসূত্রে খবর, নতুন শহরের মাঝে অন্তত ৬০ শতাংশ অঞ্চল জুড়ে ঘন বনাঞ্চল থাকবে। দেশের প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর ইচ্ছা, নতুন রাজধানীর নাম হোক ‘নুসানতারা’। তবে পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, বোর্নিওর ঘন বনাঞ্চলের মাঝে রাজধানী স্থানান্তরিত করার ফলে বহু গাছ কাটা পড়বে। বিপদের মুখে পড়বে অরণ্যজীবী কিছু উপজাতি গোষ্ঠী।
নতুন এই শহর হতে চলেছে আধুনিক ফরেস্ট সিটি– সাসটেইনেবল ফরেস্ট সিটি। পরিবেশকে পরিকল্পনার কেন্দ্রে রেখে এই শহরটি তৈরি হচ্ছে। ২০৪৫ সালের মধ্যে ঘন সবুজে ঢাকা এই শহর একটি কার্বন-নিউট্রাল শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।