আকাশে ‘ওয়ার্ম মুন’,কেউ কেউ বলেন ‘ক্রো মুন’, চাঁদের এমন বাহারি নামের রহস্য কী?

ঋতু ও তিথি ভেদে নানা নামে চাঁদকে ডাকা হয়। পিঙ্ক মুন, ব্লু মুন-চাঁদের নামের শেষ নেই। তবে ‘ওয়ার্ম মুন’ বা পোকামাকড়ের চাঁদ, এমন নাম শুনেছেন কি?

লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়া বাঙালি দুলে দুলে পড়েছে, ‘‘দোলপূর্ণিমায় নিশি নির্মল আকাশ।’’ দোলের রাতে গোল থালার মতো শ্বেতশুভ্র চাঁদের সঙ্গে পোকামাকড়ের অনুষঙ্গ জুড়বে, তা আর কে জানত। গত মঙ্গলবার দোলের দিন যে চাঁদ দেখা গিয়েছে, তাকেই ওয়ার্ম মুন বা পোকামাকড়ের চাঁদ বলছেন অনেকে। কারও কারও মতে এটি ওয়ার্ম মুন নয়, ক্রো মুন অর্থাৎ কাক-চাঁদ।

মার্চ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে যে চাঁদ দেখা যায়, তাকেই নাকি বলা হয় ‘ওয়ার্ম মুন’। কিন্তু এর সঙ্গে বিজ্ঞানের কোনও সংযোগ নেই বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। সবটাই নাকি কিংবদন্তি।

এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী তথা কলকাতার ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স-এর অধিকর্তা সন্দীপকুমার চক্রবর্তী বলেন, “এর সঙ্গে মহাকাশ বিজ্ঞানের কোনও সম্পর্ক নেই। মূলত আমেরিকা থেকে এই ওয়ার্ম মুনের ধারণাটি এসেছে।” তার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমেরিকায় মার্চ মাস নাগাদ বরফ গলতে শুরু করে। বরফাবৃত গাছের বাকলে লেগে থাকা পোকারা সেই সময় বাইরে বেরিসে আসে। পোকামাকড় খেকে বিভিন্ন পাখি এসে জড়ো হয়। সে কারণেই এমন নাম দেওয়া হয়েছে।” এমনিতেই বিষুবরেখার নিকটবর্তী দেশগুলিতে এই সময় চাঁদকে অনেক বড় দেখায়। উত্তর আমেরিকার উপজাতিদের একাংশ আবার এই বিশেষ সময়ের চাঁদকে ক্রো মুন বলে থাকেন। তাঁদের বিশ্বাস এই সময় যে শীতের বিদায়বার্তাকে ঘোষণা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.