দিওয়ানা মস্তানা-র পাপ্পু পেজার কিংবা মিস্টার ইন্ডিয়ার ক্যালেন্ডার আর নেই। চলে গেল বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক সতীশ কৌশিক(৬৬)। বুধবার জাভেদ আখতারের বাড়িতে হোলির অনুষ্ঠানেও ছিলেন হাসিখুশি। বৃহস্পাতিবার ভোর রাতে প্রয়াত হন সতীশ কৌশিক। সোশ্য়াল মিডিয়ায় সতীশের মৃত্যুর খবর দেন তাঁর বন্ধু অনুপম খের।
সতীশের মৃত্যুতে অনুপম ট্যুইট করেছেন, জানি এই পৃথিবীর সেষ সত্যি হল মৃত্যু। কিন্তু কখনও ভাবিনি প্রিয় বন্ধুর এই খবর আমাকেই দিতে হবে। গত ৪৫ বছরের বন্ধুত্বে আচমকাই ফুলস্টপ পড়ে গেল। সতীশ তোমাকে ছাড়া জীবন আর সেরকম থাকবে না। ওম শান্তি।
হরিয়ানায় জন্মেছিলেন সতীশ। ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার ছাত্র সতীশ ফিল্মি কেরিয়ার শুরু করেন মাসুম ছবি দিয়ে। কয়েক বছর পরই মিস্টার ইন্ডিয়া-য় তাঁর চরিত্র ক্যালেন্ডার দর্শকদের চমকে দেয়। আশি থেকে নব্বইয়ের দশকে বহু ছবিকে কমেডিয়ানের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে কৌশিককে। রাম লক্ষ্ণণ, দিওয়ানা মস্তানা, সাজন চলে শ্বশুরাল-এর মত ছবিতে এখনও মানুষ তাঁকে মনে রেখেছে।
জানে ভি ইয়ারো-র লেখক সতীশকে ক্যামেরার পেছনে প্রথমবার দেখা যায় ১৯৯৩ সালে রূপ কি রানী চোরো কি রাজা ছবিতে। পরে আরও একটি ছবি পরিচালনা করেছিলেন-প্রেম। দুটি ছবিই বক্স অফিসে ভালো কিছু করতে পারেনি। তবে পরিচালক হিসেবে তাঁর প্রথম সাফল্য আসে হাম আপ কে দিল মে রহতে হ্যায়(১৯৯৯) ও তেরে নাম(২০০৩) ছবিতে। রাম লক্ষ্ণণ ও সাজন চলে শ্বশুরাল ছবির জন্য ২ বার বেস্ট কমেডিয়ান ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান সতীশ। কঙ্গনা রানাউতের ইমার্জেন্সি ছবিতে জগজীবন রাম-এর চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই থেকে গেলেন বিশিষ্ট এই অভিনেতা।
সতীশ কৌশিকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ট্যইটে তিনি লিখেছেন, ভয়ংকর এক খবর শুনে ঘুম ভাঙল। আমার জীবনে সবচেয়ে বড়ে চিয়ারলিডার ছিলেন সতীশ। আমার ইমার্জেন্সি ছবিতে ওঁর কাজ করার কথা ছিল। ওঁকে মিস করব।