গরু পাচার মামলায় তাঁকে গত বছরের অগস্টে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। নভেম্বরে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গরু পাচারের বিপুল টাকা কোথায় গেল, তা জানতে দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে রেখে ইডি এ বার অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চায়। সে কারণেই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারকের কাছে তাদের আর্জি ছিল, ১৪ দিনের জন্য অনুব্রতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে দেওয়া হোক।
কিন্তু বিচারক রাকেশ কুমার দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে অনুব্রতকে ৩ দিন ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১০ মার্চ সকালে ফের অনুব্রতকে আদালতে হাজির করাবে ইডি। আর এই সময়ের মধ্যেই কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা গরু পাচারের বিপুল টাকা কোথায় গিয়েছে, তা জানার চেষ্টা করবে। আদালতে এমনটাই দাবি করেছেন ইডির আইনজীবী।
মঙ্গলবার গভীর রাতে বিচারক রাকেশ কুমারের বাড়িতে অনুব্রতকে নিয়ে হাজির হন ইডি আধিকারিকেরা। সেখানে ছিলেন অনুব্রত ও তাঁর আইনজীবীও। রাত ১টার পর সওয়াল শুরু হয় দু’পক্ষের। ইডির আইনজীবী দাবি করেন, গরু পাচারের টাকা কোথায় গিয়েছে, সেই টাকার ভাগ কারা কারা পেয়েছে তা জানতে অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। পাল্টা অনুব্রতের আইনজীবী জানান যে, তাঁর মক্কেলের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে বিচারক নির্দেশ দেন, আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত অনুব্রতকে ইডি হেফাজতে রাখা যাবে। এই সময় রোজ হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে। প্রতি দিন তাঁর আইনজীবীরা আধঘণ্টার জন্য অনুব্রতের সঙ্গে দেখাও করতে পারবেন।