আর্টিকেল 370 বিলোপের বিরোধিতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার স্বার্থে করেছেন?
দেশ বড় না ভোটব্যাংক বড় – কলকাতায় প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। নাড্ডা বলেছেন, দেশ থেকে বড় ক্ষমতা, ক্ষমতার চেয়ার? এ কীরকম রাজনীতি করেন মমতা। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, নাড্ডার নিশানায় ছিল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও।
তিনি বলেন, আর্টিকেল 370 বিলোপের পর পাকিস্তান রাষ্ট্রসঙ্ঘে গিয়ে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করছে। রাহুল কি পাকিস্তানের উকিল? একধাপ এগিয়ে নাড্ডা বলেন, রাজনীতিতে কেউ আসবে কেউ যাবে। কিন্তু, দেশ সব কিছুর উর্ধে।
আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করবেন, তিনি কি কারণে আর্টিকেল 370 বিলোপের বিরোধিতা করেন। ওর কাছে জবাব থাকবে না। বিনাশ কালে বুদ্ধিনাশ হয়। দেওয়ালের লিখন স্পষ্ঠ, মমতা যাবেন। আমরাই (বিজেপি) আসব।
মমতাকে নাড্ডার পরামর্শ, দেশের সেবা করার সুযোগ পেলে করবেন। ভোটব্যাংক দেখবেন না। আপনার (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) জবাব দেওয়ার ক্ষমতা নেইম বাংলার জনতা আপনাকে জবাব দেবে। উল্লেখ্য, আর্টিকেল 370 সমর্থন বা বিরোধিতা কিছুই করেনি তৃণমূল। সাংসদরা ভোটদানে বিরত ছিলেন। তবে, রাজ্য সভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা গোলাম নবী আজাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান। একদিন পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আর্টিকেল 370 যে ভাবে বিলোপ করা হল, সেই পদ্ধতিতে তার আপত্তি আছে। যদিও বিষয়টিতে আপত্তি নেই।