২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকার চুরি বা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দিল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ

২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকার চুরি বা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিল পুলিশ। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে ফোনগুলি ফিরিয়ে দেওয়ার হয়।

রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্র পার্কে জেলা পুলিশ শিশু ও দুঃস্থদের জন্য খাদ্য বিতরণী অনুষ্ঠান ও প্রত্যর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এদিন চুরি বা হারিয়ে যাওয়া ১৮০ টি মাবাইল ফোন ফিরিয়ে দাওয়া হয় প্রকৃত মালিকদের। যেগুলির বর্তমান বাজার মূল্য ২৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে।

২০১৯ সালে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে এই প্রত্যর্পণ কর্মসূচি শুরু হয়। ২০১৯ সালে প্রথম ৫৮০ টি মোবাইল ফিরিয়ে দাওয়া হয়। যার বাজার মূল্য ছিল ৬০ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। এই ভাবে বিভিন্ন সময়ে জেলা পুলিশ মোবাইলের মালিকদের হাতে মোবাইল ফিরিয়ে দেয়। এদিনের কর্মসূচির মাধ্যমে মোট ২০৯৮টি মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। ঝাড়গ্রাম জেলার মধ্যে যে সকল মোবাইল ফোন চুরি হয় বা হারিয়ে যায়
সেগুলির অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে জেলা পুলিশের এসওজি সেল বিশেষ টেকনিক ব্যবহার করে জেলা থেকে শুরু রাজ্যের বা রাজ্যের বাইরে চলে যাওয়া মোবাইলগুলিকে উদ্ধার করে।

এছাড়াও জেলা পুলিশের উদ্যোগে শিশু ও দুঃস্থদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। জানা গিয়েছে, জেলা পুলিশ ঝাড়গ্রাম জেলা হোটেল ওনার অ্যাসোসিয়েশন সাথে যৌথ ভাবে খাদ্য বিতরণের একটি কর্মসূচি করেছে। যার মাধ্যমে হোটেলে বেঁচে থাকা বাড়তি খাবারগুলি জেলা পুলিশের বিশেষ দল সংগ্রহ করে দুঃস্থ মানুষের হাতে তুলে দেবে।

এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা, গোপীবল্লভপুর বিধানসভার বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাতো, ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার অন্যন্য পুলিশ আধিকারিকরা।

পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, “এদিন প্রত্যর্পণ কর্মসূচির মাধ্যমে মোট ২০৯৮টি মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হল। যার বর্তমান বাজার মূল্য ২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকার কাছকাছি। জেলা পুলিশ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকার সমাজিক কাজ করে চলেছে। যার ফলে পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে”।

মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, “জেলা পুলিশ যে ভাবে মানুষের জন্য কাজ করছে তা সত্যি খুবই প্রশংসনীয় বিষয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.