আনন্দময়ীর আগমনবার্তা স্বস্তিকার পুজোসংখ্যার উন্মোচনে

বঙ্গপ্রদেশে মা দুর্গা আনন্দময়ী রূপে পূজিত হন। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে বাঙ্গালির দৈনন্দিন জীবনযাপনে যেমন আনন্দের ছোঁয়া লাগে, ঠিক তেমনই আনন্দের ব্যঞ্জনা অনুভূত হয় বাঙ্গালির সারস্বত চর্চাতেও। যার প্রকাশ দেখতে পাই পুজোসাহিত্যে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকার চিত্র-বিচিত্র পুজোসংখ্যায়।
জাতীয়তাবাদী সংবাদ সাপ্তাহিক স্বস্তিকার এ বছরের (১৪২৬) পুজোসংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হয়ে গেল গত ২৩ সেপ্টেম্বর, মাণিকতলার কল্যাণ ভবনে। উপস্থিত ছিলেন স্বস্তিকা পত্রিকার শতাধিক লেখক এবং বুদ্ধিজীবী। সভামুখ্যের দায়িত্ব পালন করেন বৈতানিকের প্রাক্তন রাজ্যসম্পাদক এবং বিশিষ্ট রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ অমিত দাশ। প্রধান বক্তা ছিলেন কাটোয়া কলেজের অধ্যাপক এবং অখিল ভারতীয় ইতিহাস সংকলন সমিতির রাজ্য সম্পাদক রবিরঞ্জন সেন।
প্রদীপ প্রজ্বলন এবং ভারতমাতার প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অতিথিদের বরণ করে নেন স্বস্তিকার প্রাক্তন সম্পাদক বিজয় আঢ্য এবং সহ-সম্পাদক সুকেশ চন্দ্র মণ্ডল। স্বাগত ভাষণে পত্রিকার বর্তমান সম্পাদক। রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, স্বস্তিকার পথ। কোনওদিনই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। বহু ঝড়ঝাপটা সহ্য করে স্বস্তিকাকে সত্তর বছরের দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হয়েছে। বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং লেখক অভিজিৎ দাশগুপ্ত স্বস্তিকার পুজোসংখ্যায় প্রকাশিত রচনাগুলির একটি মনোজ্ঞ পর্যালোচনা উপহার দেন। প্রধান বক্তা রবিরঞ্জন সেন বলেন, বামপন্থী লেখক বুদ্ধিজীবী ঐতিহাসিকদের সম্বন্ধে আমরা প্রায়শই বলে থাকি যে শুধুমাত্র সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার জোরে ওরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে দখল করে নিয়েছেন। কথাটা নেহাতই একপেশে। কারণ আজকের জায়গায় পৌঁছনোর জন্য ওরা এক সময় যথেষ্ট পরিশ্রমও করেছিলেন। বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক জিষ্ণু বসু রবিরঞ্জন সেনের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, কাউন্টার ন্যারেটিভ তৈরি করার জন্য আমাদের আরও সচেষ্ট হতে হবে। সভামুখ্যের ভাষণে অমিত দাশ আজকের পরিস্থিতিতে রবীন্দ্রনাথের তাৎপর্য এবং প্রাসঙ্গিকতা ব্যাখ্যা করেন। দুটি সুন্দর একক গীত পরিবেশন করেন হরিমোহন দাশ এবং কৌশিক বসু। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশিষ্ট লেখক সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিনিধি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.