রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এর সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বৃহস্পতিবার নাগপুরে এক ভাষনে বলেন যে‚ আমাদের ধর্ম বিজ্ঞান মেনে চলে এবং বিজ্ঞানকে মানুষের প্রয়োজনে কাজে লাগানোর জন্যে এই ধর্মের প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন যে‚ ঐতিহ্যগতভাবে আমাদের যা আছে তা প্রত্যেকের অন্ততপক্ষে প্রাথমিক জ্ঞান থাকা উচিত।
সরসঙ্ঘচালক এদিন বলেন যে হিন্দুধর্ম এমন একটা ধর্ম যা আমাদের পছন্দ অপছন্দ বাছতে দেয়। এই ধর্ম আমাদের ভারসাম্য রাখতে শেখায়। আর আমাদের ধর্ম যেহেতু বিজ্ঞান মেনে চলে তাই মানুষের ভালোর জন্যে এই ধর্মের প্রয়োজন আছে। বিজ্ঞানকে অগ্রাধিকার দেওয়া আমাদের ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে।
ভাগবত বলেন যে পৃথিবীর প্রতিটি বিষয়ে আমাদের পূর্বপুরুষদের কিছুনা কিছু অবদান আছে। সেগুলোই ঐতিহ্য হিসাবে চলে আসছে। শুরুতে আমাদের কাছে লিখিত বই ছিলো না‚ মুখে মুখে শুনে পরম্পরাগতভাবে ঐতিহ্যগুলো চলে আসছিল। পরবর্তীতে তা এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়ে। এবং কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ বইগুলোকে বিকৃত করে দেয়। সেইসব বই ও পরম্পরাগতভাবে চলে আসা জ্ঞানের আরেকবার পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “আমাদের ঐতিহ্যগতভাবে যা আছে সে সম্পর্কে প্রত্যেকেরই অন্ততপক্ষে একটি প্রাথমিক জ্ঞান থাকা উচিত। এটি শিক্ষা ব্যবস্থা এবং মানুষের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে।” তিনি বলেছিলেন যে ঐতিহাসিকভাবে ভারতে সবকিছুকে পর্যালোচনা করার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ছিলো কিন্তু বিদেশী আক্রমনের কারণে আমাদের সেই সিস্টেম ধ্বংস হয়ে যায় এবং আমাদের জ্ঞান সংস্কৃতি খণ্ডিত হয়ে পড়ে।
সরসঙ্ঘচালক আরো বলেন যে‚ যিনি জানতে চান তাকে অবশ্যই জানতে দেওয়া উচিত। সমাজের সব স্তরে জ্ঞানকে পৌঁছে পৌঁছে দিতে হবে। মোহন ভাগবত বলেন যে সবাই অধিকারী না হয়েই জ্ঞানের অধিকার চায়। তাই আমাদের ঐতিহ্যের মধ্যে কী কী নিহিত আছে কমপক্ষে তা সবার জানা উচিত। তাঁর মতে সময়ের প্রয়োজন হল আবারও ধর্মগ্রন্থ এবং ঐতিহ্যগত জ্ঞানগুলিকে পর্যালোচনা করা।
সৌভিক দত্ত