Indore Pitch Controversy, BGT 2023: ইন্দোরের পিচ ‘খেলার অযোগ্য’, বড় ঘোষণা করে রোহিতদের চাপ বাড়াল আইসিসি

একে তো চলতি বর্ডার গাভাসকর ট্রফির (Border Gavaskar Trophy 2023) তৃতীয় টেস্টে ৯ উইকেটে লজ্জার হার। মাত্র আড়াই দিনের আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে ইন্দোরের (Indore) হোলকার স্টেডিয়ামের (Holkar Stadium) টেস্ট ম্যাচ। প্রথম দিন ১৪টি গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিন ১৩টি উইকেট পড়েছিল। এরপর তৃতীয় দিন লাঞ্চের আগেই ৭৬ রান চেজ করে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া (Australia)। নাগপুর (Nagpur) থেকে দিল্লি (Delhi) , এরপর হোলকার স্টেডিয়ামের বাইশ গজ। শেষ পর্যন্ত এই টেস্টের বাইশ গজ নিয়ে বিরক্ত আইসিসি (ICC)। আর তাই হোলকার স্টেডিয়ামের বাইশ গজকে  ‘খেলার অযোগ্য’ বড় ঘোষণা করে দিলেন ক্রিকেট বিশ্বের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। 

এর আগে নাগপুর এবং দিল্লিতে দুটো টেস্টেই টিম ইন্ডিয়ার (Team India) কাছে শোচনীয় হার হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিয়ার একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার ও অজি মিডিয়া, দুটি ভেন্যুর পিচের সমালোচনা করলেও, আইসিসি কিন্তু সেবার নাগপুর এবং দিল্লির পিচকে ‘অ্যাভারেজ’ তকমা দিয়েছিল। যদিও এবার রক্ষা পেল না হোলকার স্টেডিয়াম। আর তাই এই ভেন্যুর পিচকে ‘পুউর’ আখ্যা দিল আইসিসি। 

তৃতীয় টেস্টের ম্যাচ রেফারি ছিলেন ক্রিস ব্রড। তিনি তাঁর রিপোর্টে লিখেছেন, “এই পিচ প্রথম থেকেই খুব শুকনো ছিল। এর ফলে ব্যাট-বলের যুদ্ধ মোটেও দানা বাঁধেনি। পিচে প্রথম থেকেই স্পিনাররা সাহায্য পেয়েছে। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই পিচ ভেঙে যায়। এবং একইরকম অবস্থা পুরো ম্যাচ জুড়ে দেখা গিয়েছে। ফলে তেমন সিম মুভমেন্ট দেখা যায়নি। আর তাই এই পিচে বল অহেতুক লাফাচ্ছিল।” 

নাগপুর এবং দিল্লি দুই জায়গাতেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় তুলে নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। বিশেষ করে নাগপুরের পিচে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে এক ইনিংস ও ১৩২ রানে হেরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় স্পিনারদের সামনে একেবারে ব্যর্থ অজিরা। ম্যাচ শেষের পর থেকেই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা তো বটেই, প্রাক্তন অজি ক্রিকেটাররাও সরব হয়েছিলেন নাগপুরের পিচ নিয়ে।

নাগপুরে আড়াই দিনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়াকে শেষ করে দিয়েছিল ভারতীয় দল। সেই ম্যাচে রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনই অস্ট্রেলিয়াকে শেষ করে দিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে বল হাতে দাপট দেখিয়েছিলেন জাদেজা। তিনি একাই তুলে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিনের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি অজি ব্যাটাররা। ১০০ রানও টপকাতে পারেননি তারা। এমন ম্যাচ হওয়ার পর থেকেই নাগপুরের পিচ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল বিতর্ক। অপেক্ষা ছিল নাগপুরের পিচকে আইসিসি কী রেটিং দেয়।

নাগপুর ও দিল্লির পিচের রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল আইসিসি। ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট জমা দেওয়ার  ভিত্তিতেই আইসিসি নিজেদের মত জানিয়ে দিয়েছিল। সেখানেই নাগপুর এবং দিল্লি দুই জায়গার পিচকেই ‘অ্যাভারেজ’ তকমা দেওয়া হয়েছিল। নাগপুরের পিচ র‍্যাঙ্ক টার্নার হয়েছে বলেই সকলে দাবি তুলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই পিচ যে খেলার অযোগ্য ছিল, সেটা কিন্তু মানতে নারাজ আইসিসি। তবে এবার হোলকার স্টেডিয়ামের পিচকে ‘পুউর’ আখ্যা দিয়ে ভারতের চাপ বাড়াল আইসিসি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.