মহালয়ায় নতুন উৎসব রাজ্য আরএসএস-এর। গত তিন বছর ধরেই এই দিনে সঙ্ঘ শক্তি প্রদর্শন করে বাংলায়। এই বছর সেটাই নতুন মাত্রা পাচ্ছে।
গোটা বাংলায় মোট ৩২৬ ব্লকে হবে রুটমার্চ। এছাড়াও হবে বড় শহরগুলিতে। কলকাতায় মোট ২২ জায়গা থেকে বের হবে রুটমার্চ। বাজবে বিউগল-সহ সঙ্ঘের বিশেষ ব্যান্ড। আর তার তালে তালে পা মেলাবেন রাজ্য আরএসএস-এর সব সদস্য। সকলে সঙ্ঘের নির্ধারিত গণবেশে এই পদযাত্রায় যোগ দেবেন। এমনটাই জানিয়েছেন আরএসএস-এর রাজ্য প্রচার বিভাগের প্রমুখ বিপ্লব রায়।
এমনিতে আরএসএস গোটা বছরে মোট ছ’টি উৎসব পালন করে। এর মধ্যে রয়েছে, চৈত্র শুক্ল প্রতিপদ তিথিতে ‘বর্ষ প্রতিপদ’ অনুষ্ঠান ও এর পরে জৈষ্ঠ্য মাসে শিবাজির রাজ্যভিষেক তিথি, গুরুপূর্ণিমা, রাখিবন্ধন, বিজয়া দশমী ও মকরসংক্রান্তি। এর মধ্যে শক্তি প্রদর্শনের জন্য সঙ্ঘ গোটা দেশে বিজয়া দশমী তিথি পালন করে। এদিন সঙ্ঘের শাখায় শাখায় অস্ত্র পূজন পালিত হয়। কিন্তু এই রাজ্যে দুর্গা পুজোর ধূমধামের মধ্যে বিজয়া দশমীতে আলাদা করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে সমস্যা হয়। সেই কারণেই গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের জন্য আলাদা উৎসবের তিথি পালন শুরু করেছে বঙ্গ আরএসএস।
বিপ্লব রায় জানান, “সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা পুজোয় ব্যস্ত থাকার জন্য বিজয়া দশমী তিথি পালন অন্য রাজ্যের মতো করে এখানে পালন করা যায় না। তাই শক্তির দেবী মা দুর্গাকে আহ্বান জানাতে মহালয়ার দিনটি বিশেষ ভাবে এই রাজ্যে পালন শুরু হয়েছে। এই দিন সঙ্ঘের সব স্বয়ংসেবক পূর্ণ গণবেশে পদযাত্রায় অংশ নেবেন। রাজ্যের সব খণ্ড (ব্লক), সব নগরে (শহর) পালন হবে কার্যক্রম। সর্বত্র সঙ্ঘের ঘোষ (ব্যান্ড) বাহিনীও থাকবে। এর জন্য গত তিন মাস সর্বত্র প্রস্তুতি চলেছে।”
সঙ্ঘের দাবি মতো, এই রাজ্যে আরএসএস-এর প্রকৃত শক্তি ঠিক কতটা তা বোঝা যাবে মহালয়ার দিনে। এমনিতে সঙ্ঘের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিজেপি-সহ অন্যান্য সংগঠনের নেতা, কর্মীরাও যোগ দেন। কিন্তু এই দিন শুধুই সঙ্ঘের শক্তি দেখা যাবে। কারণ, এই কার্যক্রমে পূর্ণ গণবেশ রয়েছে এমন স্বয়ংসেবকরাই শুধু অংশ নিতে পারবেন।