ভোটের ফল বলছে চার দশকের ঐতিহ্য বজায় রেখেছে আরও একবার ত্রিশঙ্কু হয়েছে মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচনের ফল। তবে ফল বেরনোর পর নানা রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ সেখানে বিজেপি-এনপিপি সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতেই সমর্থন চেয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী তথা এনপিপি নেতা কনরাড সাংমা। বিজেপি সূত্রের খবর, শাহের তরফে সাংমাকে নাকি এই মর্মে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, আরও একবার সাংমাকেই মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চায় কেন্দ্রের শাসক দল।
৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় ২৬টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছে কনরাডের জল এনপিপি। তবে সরকার গঠনের জন্য আরও ৫টি মতো আসনের প্রয়োজন তাদের। অন্যদিকে, বিজেপি জিতেছে ২টি আসন। আপাতত নির্দল বিধায়কদের সাহায্যেই প্রয়োজনীয় আসনসংখ্যায় পৌঁছতে চাইছে এনপিপি। ২০১৮ সালে জোট গড়ে সরকার গড়েছিল বিজেপি-এনপিপি। তবে দুর্নীতি-সহ নানা বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে এই নির্বাচনে আলাদা ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দুই দল। তবে ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেই আরও একবার বিজেপির হাত ধরার ইঙ্গিত দেন কনরাড। এমনকি ভোট পরবর্তী জোটের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতেই গত মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে কনরাডের সঙ্গে বৈঠক করেন অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
হিমন্ত নিজেও এনপিপির সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। বৃহস্পতিবার একটি টুইট করে তিনি জানান, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা মেঘালয় বিজেপিকে কনরাডের দলের সঙ্গে জোট গড়ার ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন। বিজেপির সঙ্গে জোট গড়লে সরকারের স্থায়িত্ব এবং রাজ্যের ‘উন্নয়ন’ নিয়ে ভাবতে হবে না বলে মনে করছে এনপিপি নেতৃত্ব। যদিও কনরাড বৃহস্পতিবার বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ার কথা প্রকাশ্যে বলেননি। আবার সেই সম্ভাবনার কথা খারিজও করে দেননি। তিনি বলেন, ‘‘সব দলের সঙ্গেই কথা বলছি, যাদের সঙ্গে আমরা কাজ করেছি। বিজেপির সঙ্গে জোট করিনি। আগেও বলেছি, নির্বাচনে লড়া এক জিনিস, আর সরকার গঠন আলাদা।’’