বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল জলে থৈ থৈ।
হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বেডে ভর্তি রোগী আর সারা ওয়ার্ড ও হাসপাতালের পরিসরে জলে থৈ থৈ করছে। বাথরুমের নোংরা জল পাইপ লাইন বয়ে আসছে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। সেই নোংরা জলে পা দিয়েই রোগী, চিকিৎসক, চিকিৎসা কর্মী সকলকেই যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই দুঃসহ অবস্থা বাঁকুড়ার শিল্পাঞ্চলের বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। হাসপাতালের এই শোচনীয় অবস্থায় রোগী ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। গতকাল রাত থেকে এই অবস্থা শুরু বলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য।
প্রার এক দশক হতে চললো বড়জোড়া হাসপাতালটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়েছে, কিন্তু উন্নত চিকিৎসা পরিকাঠামো আজও গড়ে ওঠেনি, এমনই অভিযোগ স্হানীয় বাসিন্দাদের।বাঁকুড়ার শিল্পাঞ্চল এলাকায় এই হাসপাতালে রোগীদের চাপ, শিল্পকারখানা ও পরিবহনের ব্যস্ততার কারণে দুর্ঘটনা, কল কারখানায় শ্রমজীবী মানুষের আধিক্য ইত্যাদির কারণে হাসপাতালে রোগীদের ভিড় লেগেই থাকে, অথচ পরিষেবা ঠিকমত মেলে না।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, যেখানে ১২৩ জন কর্মী দরকার সেখানে নিয়োগ হয়েছে মাত্র ৫২ জন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালে জমা জল দ্রুত অপসারণ ও সুষ্ঠ চিকিৎসা পরিষেবার দাবিতে আজ বিজেপির পক্ষ থেকে হাসপাতাল সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি সোমনাথ কর বলেন, গতকাল রাত থেকে হাসপাতালের গ্ৰাউন্ড ফ্লোর, সেকেন্ড ও থার্ড ফ্লোরে বাথরুমের জল পাইপ বেয়ে ওয়ার্ড ভাসাচ্ছে, সেই জলে পা দিয়ে রোগীদের বেডে উঠতে হচ্ছে। হাসপাতালে কর্মীর সংখ্যা কম, অথচ যথাযথ ভাবে নিয়োগ হচ্ছে না।
বিজেপির বড়জোড়া ১নং মন্ডল সভাপতি গোবিন্দ ঘোষ বলেন, আজ আমরা সুপার সাহেবকে স্মারকলিপি দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছি। চারদিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে আরও বেশি লোক নিয়ে হাসপাতালে আসবো।
হাসপাতালের সুপার ডাঃ শুভ নারায়ণ প্রসাদ জানান, বাথরুমের পাইপের গন্ডগোলের জন্য এই সমস্যা হয়েছে।বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। পাইপ লাইন সারানোর কাজ চলছে, শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।