প্রযুক্তিগত উন্নতি আজ আমাদের এমন একটা জায়গায় দাঁড় করিয়েছে যে, গোটা বিশ্ব আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। আর অবশ্যই এর পিছনে যার অবদান অন্যতম সেটা হল ‘গুগল’। মুহূর্তেই কোনও তথ্য জানতে চান! তার জন্য ‘গুগল’ আছে তো! তথ্য, পণ্য, ভ্রমণ, এলাকা যা কিছু সম্পর্কেই জানতে চান না কেন, সবকিছুর সমাধানের ক্ষেত্রে একটাই শব্দ, ‘গুগল’। আজ সেই গুগলের ২১ তম জন্মবার্ষিকী অর্থাৎ, আজ থেকে ২১ বছর আগে গুগল বিশ্বে প্রথম পা রেখেছিল। সারাবছর নানা রকমের ডুডল তৈরি করে বহু বিখ্যাত মানুষ ও মনীষীদের জন্মদিন পালন করে গুগল, আজ তারই জন্মদিন উদযাপিত হচ্ছে ডুডলের মাধ্যমে।
ডুডলে দেখা যাচ্ছে, ২১ বছর আগেকার একটি ছবি। সেই সময়ের ঢাউস কম্পিউটার পেজের ছবি, আর তার সঙ্গে সেই সময়ের ছাপ, ২৭.৯. ৯৮। আজকের দিনে সবার আগে যাঁদের কথা না মনে করলেই নয়, তাঁরা হল গুগলের দুই স্রষ্টা ল্যারি পেজ এবং সের্গে ব্রিনের কথা। যাঁরা আমাদের জন্য এই অসাধ্যসাধন করেছিলেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের Ph.D-এর ছাত্র থাকাকালীন তাঁরা গুগল আবিষ্কার করেছিলেন। গোটা বিশ্ব সম্পর্কে ঘরে বসে জানতে তৈরি করেছিলেন সার্চ ইঞ্জিন পোর্টাল ব্যাকরাব। পরে এই ব্যাকরাব নাম বদলে হয় গুগল।
ধীরে ধীরে এটি আরও উন্নত এবং জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছলে সান মাইক্রোসিস্টেম সংস্থা তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। গুগলের তখন নতুন নাম হয় গুগল ইঙ্ক। গুগলের প্রথম অফিস খোলে ক্যালিফোর্নিয়ায়। ২০০১ সালে, গুগল উন্নত প্রযুক্তির জন্য একটি পেটেন্ট পায় এবং ল্যারি পেজের নাম উঠে আসে আবিষ্কারক হিসেবে। সংস্থাটি সর্বজনীনভাবে আত্মপ্রকাশ করে। বছরের পর বছর জনপ্রিয়তার শিখরে চড়তে চড়তে গুগল বিশ্ববাসীকে একের পর এক উপহার দিয়েছে- জি মেল, গুগল ড্রাইভ, গুগল ডক্স এবং গুগল ক্রোম নামক ওয়েব ব্রাউজার। ধীরে ধীরে যুক্ত হয়েছে ভিডিও পোর্টাল ইউটিউব। বর্তমানে শুধুমাত্র কম্পিউটারেই যে এগুলো সীমাবদ্ধ, তা নয়, পাশাপাশি দেখা যায় স্মার্ট ফোনেও। আর এখন তো সার্চিংয়ের জন্য টাইপ ছাড়াও গুগলের স্মার্ট স্পিকারও রয়েছে।