চোখের সামনে হুড়হুড়িয়ে ভেঙে পড়ল তিনতলা বাড়িটা। বুধবার আগুন লেগে যায় দিল্লির রোশেনারা রোডের তিনতলা ওই বাড়িটিতে। তারপরেই এক সময়ে সেটি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। সিসিটিভিতে ধরা পড়ল সেই দৃশ্য়।
আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শুরু হয়ে যায় আগুন নেভানোর কাজ। বাড়িটিতে ছিল জয়পুর গোল্ডেন ট্রান্সপোর্টের অফিস। ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা এলাকা। আগুন নেভানোর কাজ চলার মধ্য়েই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বাড়িটি ভেঙে পড়ে।
দিল্লির ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর সংবাদমাধ্যমে বলেন, সকাল ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ আমরা ফোন পাই। খবর পেয়েই রোশেনারা রোডের ওই জায়গায় ছুটে যায় ১৮টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর সময় তিনতলা বাড়িটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। একজন দমকল কর্মী ভাগ্যক্রমে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছেন। আগুন নিবে গেলেও ক্ষয়ক্ষতির হিসেব এখনও পাওয়া যায়নি। কোনও পকেট ফায়ার রয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আজ কলকাতার নাগেরবাজারের এক বহুতল আবাসনের ১৭ তলায় আগুন লেগে যায়। দমকলের তত্পরতায় আগুন দ্রুত আয়ত্বে আসায় বড়সড় কোনও ক্ষতি হয়নি। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ আগুনের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। প্রাথমিকভাবে দমকল মন্ত্রী সুজিত বলেন, যশোর রোডের ডায়মন্ড সিটি বহুতলে আগুন লেগেছে। সেখানেই যাচ্ছি। আগুন দেখে আবাসিকরা দমকলে খবর দেন। প্রাথমিকভাবে দমকল আগুন আটকে রাখার চেষ্টা করলেও আরও ইঞ্জিন এসে পুরোদমে আগুন নেভানোর কাজে লেগে যায়। তবে সময় যত এগোয় ততই বহুতলের ওই ১৭ তলার বিভিন্ন ফ্ল্যাটের জানালা থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বহুতলের মানুষজন।
আগুন লাগার খবর পেয়েছে বাসিন্দারা পড়িমড়ি করে নীচে নেমে আসেন। অনেকেই অন্যান্যদের ডেকে ঘর থেকে বাইরে বের করে আনেন। কয়েকজন ছাদে আটকে পড়েন। তাদের নামানোর জন্য দমকলকে বারবার বলতে থাকেন বাসিন্দারা। তারাই উদ্যোগ নিয়ে বয়স্কদের চেয়ারে চাপিয়ে নামিয়ে আনেন। গোটা আবাসন চত্বর মানুষে ভরে যায়।