অসুস্থ বর্ষীয়ান পরিচালক প্রভাত রায়। আচমকা রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে ভর্তি হাসপাতালে। পরিচালকের অসুস্থতার খবর দিয়েছিলেন প্রভাত রায়ের প্রতিবেশীরাই খবর দিয়েছিলেন পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীকে। পরিচালক প্রেমেন্দুবিকাশ চাকীকে সঙ্গে নিয়ে অসুস্থ প্রভাত রায়কে হাসপাতালে ভর্তি করান হরনাথ।বেশ কিছু দিন ধরেই শরীর খারাপ যাচ্ছিল তাঁর। তবে আপাতত অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে।
টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রবীণ পরিচালককে দেখতে এদিন হাসপাতালে পৌঁছন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুঃসময়ে তাঁকে ভুললেন না তাঁর ‘লাঠি’ ছবির নায়ক। ইন্ডাস্ট্রির লাইমলাইট থেকে সচরাচর দূরে থাকতেই পছন্দ করেন ভিক্টর। শহুরে কোলাহল, হই হট্টগোল তাঁর না-পসন্দ। তাই পাহাড়েই নিভৃতে বাস করেন। তবে ‘প্রভাতদা’র অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে এলেন শত ব্যস্ততার মাঝে। ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাতের ছবি নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে পোস্ট করেছেন প্রভাত রায় স্বয়ং।
গত এপ্রিলে স্ত্রী জয়শ্রী রায়কে হারিয়েছেন প্রভাত। নিঃসন্তান দম্পতি পরস্পর পরস্পরের উপরে নির্ভরশীল ছিলেন। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর খুবই একা হয়ে পড়েন পরিচালক। দু-দু’টি জাতীয় পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এই পরিচালকই আক্ষেপের সুরে একাধিকবার বলেছেন, “আমি প্রায় ১৫ জন নতুন ছেলেমেয়েকে সিনেমায় সুযোগ দিয়েছি। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা, টোটা থেকে শুরু করে শুভশ্রী, সায়ন্তিকা। তার মধ্যে তিনজন আমাকে মনে রেখেছে। ঋতুপর্ণা, টোটা, সায়ন্তিকা। বাকি সব অকৃতজ্ঞ। একটা খোঁজও নেয় না।”
‘লাঠি’, ‘প্রতিদান’, ‘প্রতিকার’, ‘তুমি এলে তাই’-এর মতো ছবিতে প্রভাত রায়ের পরিচালনায় কাজ করেছেন ভিক্টর। এছাড়াও ‘শ্বেত পাথরের থালা’, ‘পিতৃভূমি’, ‘শুভদৃষ্টি’, ‘যোদ্ধা’, ‘সেদিন চৈত্রমাস’-এর মতো সিনেমা তৈরি করেছেন বর্ষীয়ান পরিচালক। প্রসঙ্গত, স্ত্রীর মৃত্যুর পর খোঁজ নেননি জিৎ। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আসবেন বলেও আসেননি। ঋতুপর্ণা, টোটারা এসে দেখা করেছিলেন। রঞ্জিৎ মল্লিক জানানো হয়নি তাও তিনি এসে দেখা করে গিয়েছিলেন। আসতে না পারলেও ফোনে খোঁজ খবর নিয়েছিলেন সায়ন্তিকা।