মেয়ে উচ্চশিক্ষিত। তাঁর ‘অনুপ্রেরণা’য় ফের পড়াশোনা শুরু করেছেন মা ও দাদাও! এবছর একসঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, পরীক্ষায় ভালো ফল করার বিষয়েও আশাবাদী দু’জনেই।
ঘটনাটি ঠিক কী? পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার ঘাটশিলার গ্রামের বাসিন্দা আয়েশা বেগম। তাঁর স্বামী সাইফুল আলম পেশায় কৃষক। নিতান্তই নিম্নবিত্ত পরিবার। ওই দম্পতির বড় সন্তান পারভেজ তাই আর বেশিদূর পড়াশোনা করতে পারেননি। স্কুল ছেড়েছেন প্রায় ৬ বছর আগে! পারভেজের বোন ফিরদৌসী কিন্তু শত প্রতিকূলতার মাঝেও পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করার পর এখন চাকরির জন্য চেষ্টা করছেন তিনি।
মা আর দাদা কেন স্বল্পশিক্ষিত হয়ে থাকবে? দু’জনকে একপ্রকার জোর করেই পড়াতে বসাতেন ফিরদৌসীই। ফলও মেলে হাতেনাতে। বাড়ির ছোট সদস্য়ের কথায় ফের পড়াশোনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন মা ও ছেলে। ভর্তি হয়ে যান ঘাটশিলা সিদ্দিকিয়া সিনিয়র হাই মাদ্রাসায়। স্ত্রী ও ছেলে এক সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ায় খুশি সাইফুলও।