Adenovirus: সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার ক্নিনিক, অ্যাডিনো মোকাবিলায় জারি নয়া নির্দেশিকা

 রাজ্যে একের এক শিশুর মৃত্যু! কেন? মুখ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করার পর, অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্যভবন। সঙ্গে হেল্পলাইন নম্বরও। নির্দেশিকায় উল্লেখ, রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে ২৪ ঘণ্টার ক্লিনিক চালু করতে হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া রেফার করা যাবে না আক্রান্ত শিশুকে। 

রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপটে বিপদে শিশুরা। বাড়ছে নিউমোনিয়া আক্রান্তের সংখ্যাও। এদিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও বি সি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্যু হল আরও ৫ জনের। কীভাবে? হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রত্যেকেরই জ্বর ও শাসকষ্টের সমস্যা ছিল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে যে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন আবার আক্রান্ত হয়েছিল অ্য়াডিনো ভাইরাসে।

কেন এমন পরিস্থিতি? এদিন স্বাস্থ্যসচিবকে নবান্নে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। মুখ্য়মন্ত্রী জানতে চান, ‘কেন এত শিশুর মৃত্যু? স্বাস্থ্য দফতর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’?  স্বাস্থ্যসচিব জানান. কয়েকদিন আগেই তিনি বৈঠক করেছিলেন। সমস্ত হাসপাতালে বেড বাড়ানো হয়েছে। এমনকী, পর্যাপ্ত বেড রয়েছে কলকাতার হাসপাতালগুলিতে। কিন্তু এত বেশি সংখ্যায় শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে যে, হাসপাতালগুলির চাপ বাড়ছে। একটি বেডে দু’জন শিশুকে রাখতে হচ্ছে।  

স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা
—–
সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে পেডিয়াট্রিক অ্যাকিউট রেসপেরিটরি ক্লিনিক (ARI)।
মেডিক্যাল সুপারিনট্যান্ড্যান্ট অথবা অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও অসুস্থ শিশুকে রেফার করা যাবে না।
জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভেন্টিলেশন-সহ আইসিইউ, সিসিইউ তৈরি রাখতে হবে
চিকিৎসা পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট পিজিটি চিকিৎসক এবং সিনিয়র রেসিডেন্ট দায়িত্বে থাকবেন।
চিকিৎসার সুবিধার্থে হেল্পলাইন নম্বর 1800-313444-222 চালু করা হল।

এর আগে, স্বাস্থ্যভবনে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন স্বাস্থ্যসচিব। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালেই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু তাই নয়, অবস্থা স্থিতিশীল হলে কোনওভাবেই রেফার করা যাবে না বিসি রায় হাসপাতালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.