আইনি জটিলতায় নব দম্পতির ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবে সেই আতঙ্কে রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করল। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগর থানার কল্যাণগড় এলাকায়। ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ আপ বনগাঁ লোকালে কাটা পড়ে তারা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, নব বধূ নাবালিকা। মাত্র ছয়মাস বাকি ১৮ বছর হতে। ভালোবাসার টানে ঘর ছেড়েছিল নাবালিকা। চার দিন আগে পরিবারের অনুমতি ছাড়া প্রেমিকের সঙ্গে বিয়েও সেরেছিল সে। নতুন সংসারও
বেঁধেছিল তারা। কিন্তু চিরস্থায়ী হল না তাদের সংসার। তাসের ঘরের মত ভেঙে গেল সব। অশোকনগর কল্যাণগড়ের বাসিন্দা নাবালিকার সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম তুষার দাসের (২২)। ২২ ফেব্রুয়ারি ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে ঘর ছেড়েছিল তারা। বিয়ে করে তুষারের বাড়িতে বউ হিসেবেই সংসার করছিল নাবালিকা। কিন্তু সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হল না।
এদিকে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ তুলে ২২ তারিখই অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। সেই মামলায় এদিন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মেয়েটির গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা। গোপন জবানবন্দি দেওয়ার আতঙ্কে তার আগেই চরম পরিণতি হল তাদের। এদিন ভোর সোয়া চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল নবদম্পতি। সেই সময় নববধূ ফেসবুকে লাইভ করে বলে, বিয়ের আগে থেকেই তার বাবা অত্যাচার করছিল। বিয়ের পর থেকে পুলিশ ও গুন্ডাদের ভয় দেখাচ্ছেন। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
নববধূর বাবা পালটা অভিযোগ করেন ছেলে ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে, তিনি বলেন, মেয়েকে শিখিয়ে এই ভিডিও করা হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী ওই ছেলে ও তার পরিবার। পাশাপাশি তিনি জানান, তার মেয়ে নাবালিকা, অশোকনগর থানায় তাই আগেই ছেলে এবং ছেলের পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, ৪টে ২০ মিনিটে আপ বনগাঁ লোকাল ট্রেনে কাটা পড়ে তারা। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।