Hyderabad: বন্ধুর বুক চিরে হৃদপিণ্ড বের করে খুন, তথ্য লোপাটে ছিন্নভিন্ন মাথা-গোপনাঙ্গ!

নৃশংস বললেও কম বলা হয়। প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, এই অপরাধে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে যৌনাঙ্গ ও আঙুল কেটে নিল অভিযুক্ত। পৈশাচিক ব্যবহারের এখানেই শেষ নয়। এছাড়া বুক চিরে বের করে আনা হয় হৃদপিণ্ড। হাড়হিম এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে হায়দরাবাদে। প্রেমিকাকে মেসেজ পাঠানো ও ফোন করার অপরাধে বন্ধুকে খুন করেছে ২২ বছরের এক যুবক। এর আগে প্রেমিকের সঙ্গে নিহত যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

অভিযুক্ত পরে নিহতের মাথা কেটে ফেলে এবং তার গোপনাঙ্গ ও আঙুল কেটে ফেলে। ঘটনার পর পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করে সে। পুলিস অভিযুক্তের বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত হরিহর কৃষ্ণ ও নবীন দিলসুখনগরের একটি কলেজে একসঙ্গে পড়তেন। দুজনেই প্রেমে পড়েন এক তরুণীর। কিন্তু দু’বছর পর ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে নবীনের। আবার কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।  

এরপর ওই তরুণী আর হরিহর কৃষ্ণের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে নবীনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল প্রাক্তণ প্রেমিকের। আর তাতেই আপত্তি ছিল কৃষ্ণর। পুলিস জানিয়েছে, নবীন তার বান্ধবীকে ম্যাসেজ পাঠাত বলে অভিযুক্তের মন খারাপ ছিল। কৃষ্ণর ধারণা ছিল নবীন আরও একবার তার ওপর চড়াও হচ্ছে। পুলিস আরও জানিয়েছে, গত তিন মাস ধরে নবীনকে খুনের ছক কষেছিল কৃষ্ণ।

১৭ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের আব্দুল্লাহপুরে নবীনের সঙ্গে দেখা হয় কৃষ্ণার। কিছুক্ষণের মধ্যেই মদ্যপ অবস্থায় ওই দুই যুবকের মধ্যে কুত্সিত ঝগড়া শুরু হয়। প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে কৃষ্ণ নবীনের সঙ্গে হাতাহাতিও হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি নবীনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। বন্ধুকে হত্যার পর কাটারি নিয়ে এসে তাঁর মাথা ধড় থেকে আলাদা করে দেয় কৃষ্ণ। এর পরই রাগ কমেনি তাঁর। মাথা কাটার পর যৌনাঙ্গ, আঙুল কাটা হয়। শেষে বুক চিরে বের করে নিয়ে আসে হৃদপিণ্ড।

এরপর অভিযুক্ত নিহতের ওই টুকরো অংশ এবং হৃৎপিণ্ডের ছবি তোলে। এমনকী ছবিগুলি হোয়াটসঅ্যাপে প্রেমিকার কাছে পাঠিয়ে দেয় সে। পুলিস জানিয়েছে, মেয়েটি ভেবেছিল কৃষ্ণ তাকে নিয়ে রসিকতা করছে এবং বিশ্বাস করতে চায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.