দ্য ওয়াল ব্যুরো: নারদ স্টিং অপারেশন কাণ্ডে এই প্রথম কাউকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ওই ঘটনা ফাঁস হওয়ার প্রায় সাড়ে তিন বছর পর আজ বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হল সিনিয়র আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে।
ক’দিন আগে ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার জন্য এসএমএইচ মির্জাকে তলব করেছিল এই কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। তার পর তাঁকে আজ গ্রেফতার করা হল। সিবিআই সূত্রে খবর, নারদ কাণ্ড নিয়ে খুব শিগগির তারা আদালতে চার্জশিটও পেশ করবে।
এসএমএইচ মির্জাকে গ্রেফতার করে এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ সিবিআই দফতরে নিয়ে আসা হয়। তার পর তাঁকে রুটিন শারীরিক পরীক্ষা করেন সিবিআইয়ের প্যানেলের ডাক্তাররা। তাঁকে এ দিনই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হবে বলে খবর।
২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের কিছু সাংসদ ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্টিং অপারেশন চালিয়েছিলেন নারদ নিউজের কর্ণধার ম্যাথু স্যামুয়েল। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়া একমাত্র পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধে স্টিং অপারেশন চালিয়েছিলেন ম্যাথু। পরে বিজেপি-র প্রকাশ করা ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, নিজের বাংলোর বৈঠকখানায় বসে লুকোনো ক্যামেরার সামনে টাকা নিচ্ছেন মির্জা। প্রসঙ্গত, মির্জা শাসক দলের শীর্ষ স্তরের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের সব সাংসদ ও মন্ত্রীর ভয়েস স্যাম্পেল ইতিমধ্যেই নিয়ে নিয়েছে সিবিআই। এ মাসের গোড়া থেকে দেখা গিয়েছে একে একে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার প্রমুখ নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে গিয়ে ভয়েস স্যাম্পেল দিয়ে এসেছেন। তার পর থেকেই সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছিল যে ২৭ তারিখের আগে তাঁরা বড় কোনও পদক্ষেপ করতে পারেন। শেষমেশ হলও তাই। এসএমএইচ মির্জাকে গ্রেফতার করল সিবিআই।
তবে উল্লেখযোগ্য হল, কলকাতা হাইকোর্টে নারদ কাণ্ড নিয়ে একটি মামলা চলছে। ওই মামলা দায়ের করেছে এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠা তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ও কাউন্সিলর ইকবাল আহমেদ। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির আদালতে সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। তার মধ্যেই এই গ্রেফতার নিয়ে আইনি প্রশ্নও উঠছে। তবে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, তাঁরা সবরকম আইনি পরামর্শ নিয়েই মির্জাকে গ্রেফতার করেছেন।