Europa League: ইউরোপা থেকে ছিটকে গেল বার্সেলোনা, অ্যান্টনির হাত ধরে বড় জয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United) এরিক টেন হ্যাগের (Eric Ten Hag) অধীনে তাদের অবিশ্বাস্য পুনরুজ্জীবনের ধারা অব্যাহত রেখেছে। বার্সেলোনার বিরুদ্ধে তাদের ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকার ঘাটতি পুরণ করার পাশাপাশি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে (Old Trafford) ২-১ গোলে জিতে তারা ইউরোপা লীগ (Europa League) থেকে ছিটকে দিয়েছে বার্সেলোনাকে (Barclona)।

প্রথম লেগের খেলা ২-২ গোলে অমীমাংসিত থাকার পরে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে একটি উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং বার্সেলোনার মধ্যে আরেকটি রোমাঞ্চকর দ্বৈরথের মঞ্চ তৈরি করে।

যদিও ঘরের মাঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডর পারফরম্যান্স আগের মতন ভালো হয়নি। ভক্তদের উত্তেজনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ন ছিলনা টেন হ্যাগের ছেলেদের খেলা। সুন্দর খেলা সত্ত্বেও, বার্সেলোনাই প্রথম রক্তের স্বাদ পায়। পেনল্টি থেকে গোল করে ম্যানচেস্টার সমর্থকদের চুপ করিয়ে দেন রবার্ট লেওয়ানডভস্কি (Robert Lewandowski)।

খেলার ১৭ মিনিটের পরে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বার্সেলোনার একটি সেট-পিস ক্লিয়ার করতে পারেনি এবং আলেজান্দ্রো বলদে (Alejandro Balde) পেনাল্টি এলাকার প্রান্তে একটি লুজ বল পেয়েছিলেন।

পায়ের জঙ্গলের মাঝেই, ব্রুনো ফার্নান্ডেস (Bruno Fernandes) চেষ্টা করেন বালদের কনুই ধরে রাখার যাতে তিনি বাঁক নিয়ে গোলের সামনে পৌঁছাতে না পারেন।

এটি খুব সাধারণ ঘটনা হলেও ব্রুনকে অবাক করে মাটিতে পরে যান বালদে এবং রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। ঘরের মাঠে ভক্তদের ক্ষোভ সত্ত্বেও, পোলিশ (Poland) আন্তর্জাতিক দলের অধিনায়ক স্পট থেকে শট মেরে ডেভিড ডি গিয়ার (David de Gea) বাম হাতের বাইরে পাশ দিয়ে বলটি গোলে রাখেন।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রথমার্ধে বিসশ সুবিধা করে উঠতে পারেনি একবারও। Wout Weghorst সুবিধা করত না পাড়ায় প্রথমার্ধে তারা কোনও ধরনের আক্রমণাত্মক তৈরি করতে পারেনি।

মার্কাস রাশফোর্ডের (Marcus Rashford) কার্যকারিতা সীমিত করে দেয় লস কিউলসের (Los Cules) ডিফেন্স।

হাফ টাইমের আগে মাত্র এক গোলে পিছিয়ে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডর জন্য সৌভাগ্যের বিষয় ছিল।

এরমাঝেই দে গিয়া বার্সেলোনার একজন খেলোয়াড়ের কাছে একটি অত্যন্ত খারাপ পাস খেলেন। শুধুমাত্র কাসেমিরো (Casemiro) এবং রাফায়েল ভারানে (Raphael Varane) পেনাল্টি এলাকার মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্লক করে তাঁকে বাঁচিয়েছিলেন।

টেন হ্যাগের পরিবর্তন

টেন হ্যাগ তার দলকে দ্বিতীয় মাঠে নামায় কিছু পরিবর্তন করে। ওয়েঘর্স্টকে তুলে নিয়ে এবং গ্রীষ্মের দলবদলে আসা অ্যান্টনিকে মাঠে নামান তিনি।

এরপরেই খেলার গতি ইউনাইটেডের পক্ষে সুইং হতে দেখা যায়। ইউনাইটেডের ফ্রেড (Fred) গোল করে সমতা দেরান খেলায়। বার্সেলোনার আধিপত্য সত্ত্বেও, ফের সমান হয়ে যায় টাই।

এই সময়ের পর থেকে পুরোটাই কার্যত ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দখলে। অ্যান্টনির মাধ্যমে এরিক টেন হ্যাগের কৌশলগত পরিবর্তনগুলি বার্সেলোনার ব্যাকলাইনকে এমনভাবে প্রভাবিত করেছিল যা ওয়েঘর্স্ট করতে পারেননি।

ফ্রেড ও ক্যাসেমিরোর মিডফিল্ডের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেন। অ্যান্টনি কয়েকটি তীক্ষ্ণ বার্সার গোলকিপারকে পরীক্ষা করলেও সবকটিই স্বাচ্ছন্দ্যে আটকে দেন তিনি।

৭৩ মিনিটের খেলার পরে, ইউনাইটেড প্রথমবারের মতো লিড নেয়। লুক শ (Luke Shaw) মাথের বাম ডিক থেকে এগিয়ে আসেন এবং একটি স্মার্ট ব্যাকহিল দিয়ে ইউনাইটেডের আক্রমণকে বাঁচিয়ে রাখেন। বলটি পেনাল্টি এলাকার একপান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাঠিয়ে ব্যাক-পোস্টে অ্যান্টনির কাছে যায়। প্রাক্তন অ্যায়াক্স (Ajax) ফরোয়ার্ড গোলের নীচের কোনা দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন বল।

পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনাকে হারিয়ে ইউরোপা লীগে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার। অন্যদিকে লা লিগা (La Liga) জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া বার্সেলোনা ইউরোপা থেকে ফিরছে খালি হাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.