নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগ হল এক নতুন নাম। ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মুখে উঠে এল এক রহস্যময়ীর নাম। তাঁর নাম হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আরমান গঙ্গোপাধ্য়ায় ওরফে গোপাল দলপতির স্ত্রী। কুন্তলের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সব জানেন হৈমন্তী। সব টাকা তার কাছেই রয়েছে। তিনি সবটা জানেন।
কুন্তল ঘোষ যেদিন গ্রেফতার হন সেদিন থেকেই বারবার দুটো নাম নিচ্ছিলেন তিনি। একটি হল তাপস মণ্ডল ও অন্যটি গোপাল দলপতি। তাপস গ্রেফতার হয়েছেন। গোপাল দলপতিকে একাধিকবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সিবিআইও তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল। এবার কুন্তল ঘোষের মুখে উঠে এল গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তীর নাম। আজ আদালত থেকে বের হওয়ার সময়ে তিনি জানান, নিয়োগ দুর্নীতির সব টাকা গোপাল দলপতি ও হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে গচ্ছিত রয়েছে। মুম্বইয়ের নরিম্য়ান পয়েন্টে ব্যবসা রয়েছে হৈমন্তীর। এখন নিয়োগ দুর্নীতির টাকা হৈমন্তীর ব্যবসায় খাটানো হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এনিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, নারী সব সময়েই রহস্যময়ী। কিছু মানুষ এরকম মনে করেন। এক কাকুর সন্ধান আমরা পেয়েছি। এবার এক কাকিমাকে পেলাম। কিন্তু মানুষ এই কাকু-কাকিমাদের খুঁজছেন না। মানুষ জেঠু-জেঠিমাদের খুঁজছেন। এটা একটা প্রতিষ্ঠিত দুর্নীতি। উপর থেকে নীচে পর্যন্ত দলের অনুমোদন ছিল। এই ধরনের ৫ পার্সেন্ট, ৭ পার্সেন্ট এজেন্টদের ধরে কি কোনও লাভ আছে? মানুষের এতে উত্সাহ নেই। মানুষ তদন্ত শেষ হয়েছে কিনা সেটা দেখতে চায়। দ্রুত নিয়োগ শুরু হোক। অপরাধীরা শাস্তি পাক। এটাই মানুষ চায়।
অন্যদিকে, এনিয়ে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, এটাকি বাংলার যাত্রাপালা হচ্ছে? বিচার বিভাগের কাছে আসল তথ্য না দিয়ে রহস্য রোমাঞ্চ সিরিজ তৈরি করেছেন তদন্তকারীরা। কাজের কাজটা কী হচ্ছে? তদন্ত করছে ইডি-সিবিআই। তদন্ত এত দেরী হচ্ছে কেন তার জবাব তো ইডি-সিবিআইকে দিতে হবে।
সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী বলেন, যাঁর নির্দেশে সারদা তদন্ত বন্ধ হয়েছে সেই নরেন্দ্র মোদীকে বলুন রাজ্যে বিজেপি। আসল মাথাকে বলুক। সারদা, নারদার তদন্ত কী হল। সব স্তরে দুর্নীতি। মানুষের টাকা চুরি হচ্ছে সর্বত্র। মেধা সম্পন্ন যুবকদের চাকরি চুরি করে বিক্রি করেছে। এর বিচার হবে না? তাই দুই পক্ষকেই সরাতে হবে।