জয়নগরে নাবালিকার বিয়ে রুখে দিলেন বিডিও। ঘটনাস্থল থেকে বর এবং কনে সহ ওই নাবালিকার মা ও পিসেমসাইকে আটক করল জয়নগর থানার পুলিস।
বুধবার সন্ধ্যায় জয়নগর ১ নম্বরের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার সত্যজিৎ বিশ্বাস গোপন সূত্রে খবর পান যে, জয়নগর এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত নারায়নীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাপুকুরিয়া আমবাগান এলাকায় এক নাবালিকার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। সূত্র মারফত পাওয়া এই তথ্যকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে জয়নগর ১ নম্বরের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার সত্যজিৎ বিশ্বাস এবং জয়নগর থানার এস আই দিগন্ত মন্ডল এবং সায়ন ভট্টাচার্য সহ পুলিসের একটি বিশেষ দল পৌঁছায় কাঁটাপুকুরিয়া আমবাগান এলাকায়। সেই সময় বিয়ের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্বে। কিন্তু হঠাৎ বিয়ে বাড়িতে পুলিস আসছে জানতে পেরে সবাই পালানোর চেষ্টা করলেও নাবালিকা কনে এবং তার মা ও পিশোমশাইকে ধরে ফেলে পুলিস। আটক করা হয় বিয়ে করতে আসা বরকেও। এরপর তাদেরকে নিয়ে আসা হয় জয়নগর থানায়।
এই বিষয়ে জয়নগর এক নম্বরের বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘বাল্যবিবাহ নিয়ে আমাদের সমাজে আরও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বর্তমান সরকার যখন মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প রেখেছে তখন তাদের পড়াশোনার দিকে প্রত্যেক অভিভাবকেরই গুরুত্ব দেওয়া উচিত’।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পারে পাথরপ্রতিমার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সের এক ব্যক্তির সঙ্গে জয়নগর থানার অন্তর্গত নারায়নীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাপুকুরিয়ার বাসিন্দা ১৫ বছরের এক নাবালিকা বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল তার পরিবার।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে কেন নিজের মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছিলেন সে প্রশ্ন করতে ওই নাবালিকার মা আরতি মন্ডল জানিয়েছেন, ওই নাবালিকা সোনারপুরে একটি গার্লস স্কুলে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। মায়ের চাপে পড়ে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই বিয়ে করতে রাজি হয়েছে বলে জানায় ওই নাবালিকা।