বিজেপি কীর্তন, একতারা হাতে গাইলেন কৈলাস, খঞ্জনিতে মুকুল-মেনন, নাচল মহাজাতি সদন

অন্য মেজাজ।

নেই বিরোধী দলের বিরুদ্ধে চোখা চোখা আক্রমণ। নেই গুরুগম্ভীর রাজনৈতিক বাক্য। বুধবার দুপুরটা একেবারে অন্য মুডে কাটালেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, মুকুল রায়রা। একেবারে নেচে গেয়ে।

এ দিন বিজেপি-র তরফে মহাজাতি সদনে গুণী শিল্পীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই বহু বাউল শিল্পীকে সংবর্ধিত করা হয় গেরুয়া শিবিরের তরফে। আর অনুষ্ঠানের শেষে খোল, একতারা বাজিয়ে গলা ছেড়ে কীর্তন গাইলেন কৈলাস। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি-র তরফে বাংলার সহ পর্যবেক্ষক তথা সঙ্ঘপরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতা অরবিন্দ মেনন।

নেতাদের এমন মুডে পেয়ে কীর্তনের তালে শরীর দুলে গেল কর্মীদেরও। মঞ্চে গাইছেন কৈলাস আর মহাজাতি সদন তখন দাঁড়িয়ে পড়েছে। প্রথমটায় পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু পরে মেনন সামনে নিয়ে আসেন মুকুলবাবুকে। হাতে ধরিয়ে দেন খঞ্জনি। একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান তেমন খঞ্জনি বাজাতে চোস্ত না হলেও, তালে তাল মেলাতে ছাড়লেন না। একেবারে অন্য আবহ তৈরি হল মহাজাতিতে।

কিন্তু এর মধ্যে কি রাজনীতি নেই? পর্যবেক্ষকরা বলছেন আলবাত আছে। তাঁদের মতে, বাংলার বাউল শিল্পীদের ভাতা দেত রাজ্য সরকার। দেখা গিয়েছে কীর্তনের দলগুলিকে খোল-খঞ্জন বিতরণ করছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আসলে এই কর্মসূচির মাধ্যমে গেরুয়া শিবির বুঝিয়ে দিতে চাইল, বাংলার লোক সংস্কৃতিতেও আর তৃণমূলের আধিপত্য রাখতে দেবে না তারা। ভাগ বসাবেন সেখানেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.