ভারতের একতা ও অখণ্ডতা রক্ষা করার পুরস্কার স্বরূপ এ বার থেকে সর্বোচ্চ নাগরিক পুরস্কার দেওয়া হবে লৌহমানব সর্দার বল্লবভাই পটেলের নামে। পুরস্কারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সর্দার পটেল ন্যাশনাল ইউনিটি অ্যাওয়ার্ড’। বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পুরস্কার হিসেবে মেডেল ও মানপত্র দেওয়া হবে। কিন্তু কোনও রকমের আর্থিক পুরস্কার থাকবে না। সাধারণত জীবিত ব্যক্তিদেরই এই পুরস্কার দেওয়া হবে। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে মৃত্যুর পরেও কেউ এই সর্দার পটেল ন্যাশনাল ইউনিটি অ্যাওয়ার্ড পেতে পারেন। এক বছরে সর্বোচ্চ তিনজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই পটেলের জন্মদিনে এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যেই এই দিনকে ‘ন্যাশনাল ইউনিটি ডে’ হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই পুরস্কার তাঁদেরই দেওয়া হবে যাঁরা জীবনের একটা বড় সময় ধরে ভারতের একতা ও অখণ্ডতার প্রচার করেছেন। ভারতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে বাঁচিয়ে রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হিবে বলে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি ভবনে পদ্ম পুরস্কারের সঙ্গেই এই সর্দার পটেল ন্যাশনাল ইউনিটি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি নিজের হাতেই এই পুরস্কার দেবেন।
কারা এই পুরস্কার পাবেন, তা বাছাই করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই কমিটি গঠন করবে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। এই কমিটির মধ্যে মন্ত্রিসভার সচিব, প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখ্যসচিবের মতো ব্যক্তিত্ব থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
কীভাবে এই পুরস্কারের জন্য নাম প্রস্তাব করা হবে, তাও জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কোনও ব্যক্তি, কিংবা সংগঠন এই পুরস্কারের জন্য কারও নাম প্রস্তাব করতে পারেন। তবে সেই ব্যক্তি বা সংগঠনকে অবশ্যই ভারতীয় হতে হবে। কেউ চাইলে নিজের নামও প্রস্তাব করতে পারেন। বিভিন্ন রাজ্য সরকার ও অন্যান্য মন্ত্রকের তরফেও এই পুরস্কারের জন্য নাম প্রস্তাব করা করা যাবে। তারপরে প্রধানমন্ত্রীর গঠন করা কমিটি সেই প্রস্তাবের মধ্যে থেকে যোগ্য প্রাপকের নাম ঘোষণা করবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি বছরই এই নাম প্রস্তাব করা যাবে। এই পুরস্কারের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করা হবে। সেখানেই অনলাইনে এই নাম প্রস্তাব করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। এও জানানো হয়েছে, সব ধর্ম, জাতি, বর্ণের মানুষেরই অধিকার রয়েছে এই পুরস্কারে।