সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আগামী বাংলা ছবি ‘গুমনামি’ মুক্তিতে আর কোনও বাধা নেই। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই ছবির মুক্তিতে কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা নেই। টিজার রিলিজের পর থেকেই বারবার শিরোনামে এসেছে ‘গুমনামি’। ট্রেলর রিলিজের পর বেড়েছিল সমালোচনা।
ছবি ব্যান করে দেওয়ার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার ভিত্তিতেই রায়দান করে এ দিন আদালতের তরফে জানানো হয়েছে যে, ‘গুমনামি’ রিলিজের ক্ষেত্রে আর কোনও নিষেধাজ্ঞা বহাল নেই। কোনওরকম বাধা ছাড়াই মুক্তি পেতে পারে ছবি। গত ৮ সেপ্টেম্বর রিলিজ হয়েছে ছবির ট্রেলর। মুক্তি পেয়েছে একটি গানও। হিন্দি এবং বাংলা দুই ভাষাতেই মুক্তি পাবে এই ছবি। আশা করা যাচ্ছে, ২ অক্টোবরেই রিলিজ হবে সিনেমাও।
গুমনামি বাবাই কি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু? এ নিয়ে বিতর্ক, রহস্যের অন্ত নেই। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরের ছবি ‘গুমনামি’তে ধরা দেবে সেই রহস্য। এ বছর স্বাধীনতা দিবসে সামনে এসেছিল ছবির ফার্স্ট লুক। মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এরপর রিলিজ হয় টিজার। তারপরেই শুরু হয়ে জল্পনা। এমনকি টিজার রিলিজের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আইনি নোটিস পান পরিচালক। আইনি চিঠি পাঠান দেবব্রত রায় নামের জনৈক ব্যক্তি। অবিলম্বে শ্যুটিং বন্ধের আবেদন জানান তিনি। নয়তো প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সাফ জানান ওই দেবব্রত রায়।
দেবব্রতবাবুর কথায়, ছবির টিজারে যে ভাবে গুমনামি বাবাকে দেখানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক, আরোপিত, হাস্যকর। তাঁর অভিযোগ, এর ফলে নেতাজির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। তাই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে পাঠানো আইনি নোটিসে তিনি লেখেন যে এই সিনেমা দেশবাসীর মধ্যে নেতাজির সম্পর্কে ভুল বার্তা ছড়াবে। তাই অবিলম্বে শ্যুটিং বন্ধ করা হোক। ওই আইনি চিঠিতে আরও লেখা হয় যে, নেতাজির মৃত্যু রহস্যের তদন্তে দায়িত্ব পাওয়া মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টে আগেই বলা হয়েছিল গুমনামি বাবার সঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কোনও মিল নেই। গুমনামি বাবাই যে নেতাজি, এর সপক্ষে কোনও প্রমাণও মেলেনি।
এই ঘটনার আগে ‘গুমনামি’ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রপৌত্র চন্দ্র বসুও। তিনিও তোপ দেগেছিলেন পরিচালকের বিরুদ্ধে।